৬৭ প্রবাসী বাংলাদেশি হচ্ছেন সিআইপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২০ সালের জন্য ৬৭ জন অনাবাসী বাংলাদেশিকে সিআইপি (কমার্শিয়ালি ইম্পর্ট্যান্ট পারসন বা বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) নির্বাচিত করেছে সরকার।

এর মধ্যে ‘বাংলাদেশে শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগকারী অনিবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে একজন, ‘বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনাবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে ৫৭ জন ও ‘বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনাবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে ১০জন সিআইপি হয়েছেন।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ৬৭ জনকে নির্বাচিত করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে।

নির্বাচিত সিআইপিরা দুই বছর পর্যন্ত (প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে) বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র পাবেন ও সরকার নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।

এছাড়া সিআইপিরা দেশ ও বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পাবেন। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, একুশে ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস উপলক্ষে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন সিআইপিরা।

সিআইপি কার্ডধারীরা ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলযানে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ‘চামেলী’ ব্যবহার এবং স্পেশাল হ্যান্ডিলিংয়ের সুবিধা পাবেন।

সিআইপি ব্যক্তিদের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তাদের বিনিয়োগ ‘ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট (প্রমোশন অ্যান্ড প্রটেকশন) আইন, ১৯৮০’ এর বিধান অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন সিআইপিরা।

২০২০ সালে নির্বাচিত প্রবাসী সিআইপিরা হলেন– ওমান প্রবাসীদের মধ্যে ইয়াছিন চৌধুরী, কবির আহমেদ, তৌফিকুজ্জামান, রফিকুল আলম, উত্তম কুমার সাহা, তৌহিদুল আলম, আজিমুল হক, জসিম উদ্দিন, সামসুল আজিম, নুরুল আমিন, মোরশেদা কবির, উৎপল সাহা এবং আবু নছর।

সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীদের মধ্যে আছেন– মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান, অলিউর রহমান, মনির হোসেন, মোহাম্মদ এমাদুর রহমান, বায়জুন নাহার চৌধুরী, ইজাজ হোসেন, শাহজাহান বাবলু, আবুল কালাম, মোহাম্মদ সফি, ইউনুছ মিয়া চৌধুরী, মাহবুব আলম, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন, মোহাম্মদ ফরিদ আহমেদ, ফখরুল ইসলাম, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, খোরশেদ আলম, আনিস উদ্দিন, আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার, মোরশেদুল ইসলাম, রিপন দত্ত, জেসমিন আক্তার, মোহাম্মদ আবুল হাসেম ও দেলোয়ার হোসেন।

এছাড়া থাইল্যান্ড প্রবাসী কামরুজ্জামান, কুয়েত প্রবাসী নাছির হোসেন, মনির হোসেন, জাপান প্রবাসী কাজী সারওয়ার হাবীব, সুলতান মাহমুদ, অঞ্জন কুমার দাস, সৌদি আরব প্রবাসী নাসির উদ্দিন, কাতার প্রবাসী ওমর ফারুক, এনামুল হক চৌধুরী, ইতালি প্রবাসী জাহাঙ্গীর ফরাজী, লুৎফুর রহমান মুন্সী, ডা. আনোয়ার ফরাজী, তাহমিনা আক্তার মিতু, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইকরাম ফরাজী, মোহাম্মেদ আবদুল রহিম, মালয়েশিয়া প্রবাসী ছাইদূর রহমান, সুইডেন প্রবাসী কাজী শাহ আলম, গ্রিস প্রবাসী আল আমিন শেখ, শামসুল আলম ও রাশিয়া প্রবাসী আলমগীর জলিল।

বিদেশে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিকারক অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে সিআইপি ঘোষিতরা হচ্ছেন– মালয়েশিয়া প্রবাসী আখতার হোসেন, অহিদুর রহমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ সেলিম, কাতার প্রবাসী জালাল আহমেদ, থাইল্যান্ড প্রবাসী রিয়াজ করিম খাঁন, ইতালি প্রবাসী নজরুল ইসলাম, মালদ্বীপ প্রবাসী সোহেল রানা, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মারুফা আহমেদ, কুয়েত প্রবাসী আবুল কাশেম আছেন।

শেয়ার করুন