ফলাফলটা ছিল অনুমেয়ই। তবুও ক্রিজে সাকিব আল হাসান থাকায় আশা ছিল ম্যাচটি অন্তত প্রথম সেশন পর্যন্ত যাবে। কিন্তু মাত্র ৪৯ মিনিটেই বেরিয়ে গেলো চট্টগ্রাম টেস্টের রেজাল্ট। সকালে সাকিব আল হাসানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর রানের গতি বাড়লেও সংশয় ছিল যে কোনও কিছুর। শেষ পর্যন্ত মিরাজের আউটের পর ফিরে যান সাকিবও। এরপরই বদলে গেলো চিত্রনাট্য, বাংলাদেশ হারলো ১৮৮ রানের বড় ব্যবধানে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম টেস্ট জেতার জন্য শেষ দিনে ২৪১ রান প্রয়োজন ছিল স্বাগতিক বাংলাদেশের। হাতে চার উইকেট রেখে মিশনে নামা বাংলাদেশে সকালের শুরুতেই হারায় উইকেট। দিনের তৃতীয় ওভারেই শট খেলতে গিয়ে আউট হন মিরাজ। অন্যদিকে সাকিব টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করলেও আউট হয়ে গেছেন ৮৪ রানে। দুই বিশেষজ্ঞ ব্যাটারকে হারানোর পর পরই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
এদিন সকালে মিরাজের আউটের পর সাকিব রানের গতি বাড়িয়েছেন। টি-টোয়েন্টি মেজাজে হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন। আগের দিন কিছুটা রয়ে-সয়ে খেললেও রবিবার সকাল থেকেই আক্রমণ চালিয়েছেন বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরির মাইফলকে পৌঁছানো সাকিব থেমেছেন ৮৪ রানে। ৬৯ বলে ৪০ রান করে চতুর্থ দিন শেষ করেছিলেন মিরাজ। রবিবার ব্যাটিংয়ে নেমে বাকি ৪৪ রান করেন ৩৯ বলে। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় ৮৪ রান করেন সাকিব।
বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদপের বল সুইপ করতে গিয়ে আউট হন সাকিব। সাকিবের আউটের পর এবাদত দ্রুত বিদায় নেন। একই ওভারে ফ্লিক করতে গিয়ে শ্রেয়াস আইয়ারকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন এবাদত (০)। পরের ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলে তাইজুল এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন (৪)।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ রোববার শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুন কিছু করতে হতো। আগের দিন ১৪ ওভারে ৩৪ রানের জুটি গড়েছেন সাকিব ও মিরাজ। এদিন আরও ১১ রান যোগ করে জুটি ভাঙে তাদের। শুরুতেই মিরাজকে হারানো স্বাগতিকদের জন্য বড় ধাক্কা। অফ স্টেম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু বল চলে যায় উমেশ যাদবের হাতে। আর তাতেই প্রথম ব্রেকথ্রো এনে দেন মোহাম্মদ সিরাজ।
তবে ম্যাচটি শুরুতেই হেরে যায় বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে চেতশ্বর পূজারা (৯০), শ্রেয়াস আইয়ার (৮৬) ও রবীচন্দ্রন অশ্বিন (৫৮) রানের উপর দাঁড়িয়ে ৪০৪ রানে অলআউট হয় ভারত। জবাবে খেলতে নেমে কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণি ও সিরাজের পেস তোপে পড়ে ১৫০ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। ফলোঅনে পড়লেও ভারত ব্যাটিংয়ে গিয়ে শুবমান গিল (১১০) ও চেতশ্বর পূজারা (১০২) জোড়া সেঞ্চুরিতে ২৫৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। ৫১৩ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ থামলো ৩২৪ রানে।