‘মায়েক ডাক’ থেকে ‘মায়ের কান্না’ শুনে এসেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত: ড. মোমেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস ‘মায়েক ডাক’ সংগঠনে গিয়ে ‘মায়ের কান্না’ শুনে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

সোমবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

universel cardiac hospital

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব কূটনীতিকরা ভিয়েনা কনভেনশনের আইন-কানুন জানেন বলে আমরা আশা করি। উনি (পিটার হাস) এক বাসায় গিয়েছিলেন। আমরা এ সম্পর্কে কোনো খবর জানতাম না। যখন তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, ওখানে আরেক দল ‘মায়ের কান্না’ রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। যখন বের হচ্ছিলেন তখন দলটি পিটার হাসের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। উনি ‘মায়েক ডাক’-এ গিয়েছিলেন, ‘মায়ের কান্না’ শুনে এলেন। তখন তিনি ‘মায়ের কান্না’র সঙ্গে কথা বলেননি।

গত ১৪ ডিসেম্বর শাহীনবাগে প্রায় এক দশক ধরে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যান পিটার হাস। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের যাওয়ার খবর পেয়ে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নেন। সুমনের বাসা থেকে বেরিয়ে এলেই ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিটার হাসকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। পরে তিনি নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান।

এ ঘটনার দিন দুপুরে শাহীনবাগের ঘটনা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে জরুরিভিত্তিতে বৈঠক করেন পিটার হাস। সেখানে তিনি তার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার কথা উল্লেখ করে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান।

গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রসচিব সাংবাদিকদের জানান, কূটনীতিকরা যদি পার্বত্য চট্টগ্রাম যান, তখন একটা অনুমতির প্রয়োজন আছে। এছাড়া ঢাকা শহরে কখনও কোথাও গেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানোর কোনো বিধান বা রীতি নেই।

ওই দিনের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পিটার হাস হুমকি অনুভব করেছেন। বাংলাদেশ তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে। আরও যদি অধিকতর নিরাপত্তা লাগে, তাও ব্যবস্থা করা হবে।

শাহীনবাগের ঘটনা নিয়ে ওয়াশিংটনেও আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে বৈঠকে পিটার হাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানান মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। গত ১৫ ডিসেম্বরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে ডোনাল্ড লুর এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন