সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের তথ্য নিয়ে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের তথ্যাবলি নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) প্রকাশিত দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় সুজন ও আগামী প্রকাশনীর যৌথ উদ্যোগে দ্য ডেইলি স্টার ভবনের এ এস মাহমুদ সেমিনার হলে বই দুটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দিলীপ কুমার সরকার।

universel cardiac hospital

অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু হেনা বলেন, নির্বাচন কমিশন সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাধীন। নির্বাচন কমিশনেরই দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে তার কাজের মাধ্যমে আস্থা অর্জন করতে হবে। আস্থা অর্জন করতে না পারলে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে না।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আরপিওতে কিছু গ্রে এরিয়া আছে। যেগুলো নিয়ে কাজ করা দরকার। হলফনামা যাচাই করা আরেকটি বড় সমস্যা। আমরা কমিশনে থাকতেও এ সমস্যায় পড়েছিলাম। সমস্যা উত্তরণে প্রার্থীর দেওয়া তথ্যগুলো আমরা এনবিআরে পাঠাতাম, কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। সবচেয়ে বড় যে সমস্যা, সেটি হলো তথ্য দেখে তো ভোট হয় না। ভোট কীভাবে হয় আপনারা জানেন, আমি রিপিট করতে চাই না।

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ভোটারদের তথ্যভিত্তিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বিচারপতি মো. আবদুল মতিন ও বিচারপতি এএফএম আবদুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ২০০৫ সালে একটি যুগান্তকারী রায়ের মাধ্যমে হলফনামা আকারে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তাদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আট ধরনের তথ্য প্রদানের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করেন। উল্লেখ্য, এই রায়কে ভণ্ডুল করার লক্ষ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সম্পূর্ণ গোপনে এবং জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে আবু সাফা নামে একজন দুর্বৃত্তের পক্ষে আপিল দায়ের করে। সৌভাগ্যবশত সুজন-এর প্রচেষ্টায় এ অপচেষ্টা রোধ এবং প্রার্থীদের সম্পর্কে ভোটারদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। শুধু তাই নয়, আনন্দের বিষয় যে ভোটারদের তথ্য প্রাপ্তির অধিকারের বিষয়টি এখন গণপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৭২-এ এবং ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত অন্যান্য সকল স্থানীয় সরকার আইনে/বিধিমালাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল আলীম বলেন, প্রার্থীর হলফনামা আমরা কোনোভাবেই যাচাই করতে পারছি না। এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা দরকার। জনগণকে ক্ষমতায়িত করা দরকার। দুর্ভাগ্যবশত কোনও নির্বাচন কমিশনকেই আমরা এটি করতে দেখিনি। কিন্তু তথ্যগুলো জনগণের কাছে পৌঁছানো দরকার।

শেয়ার করুন