দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সমমনা ১২টি দলের সমন্বয়ে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
১২ দলীয় এই জোটে রয়েছে মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি (জাফর), মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ লেবার পার্টি, সৈয়দ এহসানুল হুদার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় দল, কেএম আবু তাহেরের নেতৃত্বে এনডিপি, এলডিপির (একাংশ), অ্যাডভোকেট জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরামের নেতৃত্বে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, মাওলানা আবদুর রকীবের নেতৃত্বে ইসলামী ঐক্যজোট, ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধানের নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল, অ্যাডভোকেট আবুল কাসেমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি।
জোটের একাধিক নেতা জানান, যুগপৎ আন্দোলন বেগবান করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ১২টি রাজনৈতিক দল।
এখন থেকে আপনাদের ২০ দলীয় জোট বলবো নাকি ১২ দলীয় জোট বলবো- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, এখন থেকে বলবেন ১২ দলীয় জোট। ২০ দলীয় জোট না।
২০ দলীয় জোট ভাঙার ঘোষণা বা সিদ্ধান্ত কীভাবে হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের ৯ তারিখ গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল। ১০ তারিখের ব্যাপারে পরামর্শ সভা ছিল। সেখানে বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতৃবর্গ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বলেন- এখন থেকে ২০ দলীয় জোট নামটি আর ব্যবহার করবেন না। তবে আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একসঙ্গে চলতে পারেন। এ রূপ অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যের পর ২০ দলীয় জোটের অস্তিত্ব আর থাকে না। যদিও…বিএনপির মহাসচিব এর আগেও বলেছিলেন ২০ দলীয় জোট আর নেই।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, যদিও আনুষ্ঠানিক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০১২ সালের এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখ ২০ দলীয় জোটের জন্ম হয়েছিল। তবে জোটের বিভক্তিটা আনুষ্ঠানিকভাবে হয়নি, অনানুষ্ঠানিক হয়েছে।
১২ দলের মধ্যে নিবন্ধিত দল মাত্র দুটি। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ। তবে বাকিদের অনেকেই আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন সৈয়দ ইব্রাহীম।