ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাপ ফারুক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। তাই আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামীকাল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগদান করবেন, সারাদেশ থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী আসবে। প্রধানমন্ত্রী সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। ইতোপূর্বে অনেকবার তার প্রাণনাশের চেষ্টা হয়েছে, আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এজন্য আমরা তার নিরাপত্তাটাকে সবসময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকি।
তিনি বলেন, আগামীকালের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ফোর্স ডিপ্লয়মেন্ট করেছি। আমাদের এসবি-র্যাবসহ সবাই মিলে এই ভেন্যুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। প্রত্যেকটা গেইটে সার্চওয়ে ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। এছাড়া আমাদের ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে চারদিকে সুইপিং ও ম্যানুয়াল সুইপিং করা হয়েছে। এক কথায় আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি যাতে আওয়ামী লীগ উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারে।
সম্প্রতি দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি আছে কি না? প্রশ্ন করা হলে কমিশনার বলেন, জঙ্গি ছিনতাই, নতুন জঙ্গি সংগঠনের উত্থান ও সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট আছে বলে মনে করি না। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ওই জঙ্গিদের বেশ কয়েকজন সহযোগী এবং অন্য গ্রুপের বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আশা করি জঙ্গিদের তরফ থেকে কোনো থ্রেট থাকবে না। যতবারই মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে, আমরা ততবারই জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতেও সক্ষম হবো।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের ডিবিতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট ও সিটিটিসিতে সাইবার ইউনিট আছে। অন্যান্য সংস্থারও সামাজিক মাধ্যম মনিটরিং করার ইউনিট আছে। মনিটরিং করে যাচ্ছি। আশা করব সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়েও সমাজে কোনো অস্থিরতা তৈরি করতে পারবে না।