বাজার মূলধন কমলো আড়াই হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

শেয়ারবাজার
ফাইল ছবি

গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। এতে সপ্তাহ শেষে দাম বাড়ার তালিকায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠান স্থান করে নিয়েছে, তার সাতগুণের বেশি প্রতিষ্ঠানের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়। ফলে এক সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন আড়াই হাজার কোটি টাকার ওপরে কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৬০ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা।

এদিকে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৭টির। আর ২১৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৪ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৭ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ১৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচক ও ডিএসই-৩০ মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গত সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ১৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৩ শতাংশ।

সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৯১ কোটি ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৫৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা ৩১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৮১ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৭৭৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বা ৩১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে মুন্নু সিরামিকের শেয়ার। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৩৮ কোটি ৯৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা। ৫৮ কোটি ৪৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বসুন্ধরা পেপার।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- মুন্নু এগ্রো, জেনেক্স ইনফোসিস, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, অ্যাপেক্স ফুডস এবং জেমিনি সি ফুড।

শেয়ার করুন