দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। তাঁর সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন ওবায়দুল কাদের। টানা তৃতীয় মেয়াদে ওবায়দুল কাদের এ দায়িত্ব পালন করবেন। আজ শনিবার আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।
কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন। এ প্রস্তাব সমর্থন করেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
শনিবার আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন খাদ্যমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ সাধন চন্দ্র মজুমদার। তার নাম প্রস্তাব সমর্থন করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন পনিরুজ্জামান তরুণ। পরে কাউন্সিলে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
২০১৬ সালের ২০তম কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়ে দশম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান ওবায়দুল কাদের। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর তিনি দীর্ঘদিন গুরুতর অসুস্থ ছিলেন।
এরপর করোনা মহামারিতে ঘরের বাইরে তার তৎপরতা খুব একটা ছিল না। এজন্য এ পদে পরিবর্তন আসছে বলেই দলের নেতাদের মধ্যে দু’তিন মাস আগেও বেশ আলোচনা ছিল। কিন্তু সম্মেলন সামনে রেখে তিনি গত দুই মাস জেলায় জেলায় দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। যার ফলও পেলেন আজ।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। পরে বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়।
এ অধিবেশনে সারাদেশ থেকে আসা প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর অংশ নেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।
আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের অপর দুই সদস্য ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমান এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগের আগের কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে। অতীতের নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় অধিবেশনে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব করা হয়। তার ওপর ভিত্তি করে শীর্ষ দুই পদে নেতৃত্ব নির্বাচন করেন কাউন্সিলররা।
পরে দলের অন্য পদগুলোয় নেতৃত্ব নির্বাচনের সর্বময় ক্ষমতা দলীয় প্রধানের হাতে অর্পণ করা হয়ে থাকে। তিনি দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন হবে।