দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারের পতন ঘটাব : ড. মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমাদের আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে রাজপথে নেমেছে। তারা বলছেন-এ নব্য স্বৈরাচার ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। তাদের সময় শেষ। আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাবো, ইনশাআল্লাহ।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদেরর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

universel cardiac hospital

মোশাররফ বলেন, আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের গণসমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্বরোচিত ক্র্যাকডাউন চালিয়েছে। যা স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ চিন্তা করতে পারে না। প্রায় সাড়ে চারশো নেতাকর্মীকে একসঙ্গে গ্রেফতার করেছে। আওয়ামী লীগ ঢাকাসহ সারাদেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল। তারপরও আমাদের গণসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি।

তিনি বলেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে গণসমাবেশ সফল করেছে। সরকার তাদের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে গণসমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল। রাস্তায় অবরোধ ও পরিবহন ধর্মঘট করেছে। ৯ জনের বেশি কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তবুও কিন্তু আমাদের বিভাগীয় ও ঢাকার গণসমাবেশ পণ্ড করতে পারেনি। বরং জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে জনগণ আওয়াজ তুলেছে এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। সেজন্যই আমরা জনগণের পক্ষে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোসহ দশ দফা দাবি ঘোষণা করেছি। আজকে মানুষ মাঠে নেমেছে। ২৪ ডিসেম্বর পুলিশ সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বাধা দিয়েছে। পঞ্চগড়ে আবদুর রশিদ নামে একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। তবুও কিন্তু গণমিছিল ঠেকাতে পারেনি। ইনশাআল্লাহ ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল সফল হবে।

তিনি বলেন, সফলতা দিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। জনগণের সম্মিলিত আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকারকে বিদায় করবে জনগণ। অতীতে স্বৈরাচার এরশাদ, আইয়ুবকে বিদায় দিয়েছে জনগণ। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় জনগণ সেখানে তাদের স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করেছে। ইনশাআল্লাহ আমাদের আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে রাজপথে নেমেছে। আমরা দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাবো।

ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক মো. ফখরুজ্জামান ফখরুলের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা এমএ সেলিম, সিরাজুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, জহিরুল ইসলাম শাকিল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মেহেদী হাসান প্রমুখ।

শেয়ার করুন