রংপুর সিটি কর্পোরেশনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোটের অতিবাহিত হওয়া আড়াই ঘণ্টা সময়ের মধ্যে কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান তিনি। সুষ্ঠুভাবে এ সিটির ভোট শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সিইসি।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ঢাকায় বসে নির্বাচন মনিটরিং করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এ দিন সকাল সাড়ে ৮টায় রংপুর সিটির ভোট শুরু হয়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হচ্ছে। কনকনে শীত উপেক্ষা করে ভোটাররা ভোট দিতে আসেন। ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে ২২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮০৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে ইসি। তবে গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে সাংবাদিকরা মনিটরিং রুমে অবাধে প্রবেশ করতে পারলেও এবার সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করছে আউয়াল কমিশন।
নির্বাচনে দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৬ জনের ফোর্স। আর সাধারণ কেন্দ্রে রয়েছে ১৫ জনের ফোর্স।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হচ্ছে। ভোটারদের উপস্থিতি আমাদের মতে সন্তোষজনক। সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করছি। ট্যাবের মাধ্যমে কক্ষে কক্ষে মনিটরিং করছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে যতটা সুন্দরভাবে নির্বাচনটা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব, করছি।’
নির্বাচনের সুস্থতা, শুদ্ধতা, সঠিকতা নিশ্চিত করার সেই কাজটা আমরা করে যাচ্ছি— জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিকরা) আরও অপেক্ষা করুন। পরবর্তীতে আরও তথ্য জানতে পারবেন। দিন শেষে চূড়ান্ত কথাটা বলা যাবে।’
বেলা ১১টা ১০ মিনিটে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি এখন পর্যন্ত যথেষ্ট ভালো হয়েছে। আমরা দেখি, যখন ভোট কার্যক্রম শেষ হবে তখন আপনারা জানবেন, আমরাও জানব।’
শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে রংপুরে ভোট গৃহীত হবে বলে আশা প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। এখন যেটা দেখা যাচ্ছে, সেটারই ইঙ্গিত।’
ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমের) ধীরগতির বিষয়টি আপেক্ষিক বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত দেখতে হবে কয়জন লোক ইভিএমে ভোট না দিয়ে চলে গেছে। আমরা সেটা মূল্যায়ন করব। এখন ধীরগতি হতে পারে কিন্তু আমাদের কাছে যদি তথ্য আসে ব্যাপক সংখ্যক ভোটার ধীরগতির কারণে ভোটই দিতে পারেনি তখন সেটাকে সিরিয়াসলি আমরা গ্রহণ করব।’
বেলা ১১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাননি উল্লেখ করে পাশে বসে থাকা নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খানের কাছে সিইসি জানতে চান কোনো অভিযোগ কি পেয়েছেন আপনারা। পরে নির্বাচন কমিশনার বলেন, না কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।