বড়দিনের আগে ও পরে ভারতের বিভিন্ন স্থানে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের বসবাস বেশি এমন ছত্তিশগড় রাজ্যে হামলা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বেশ কয়েকজনকে লাঠি, গাড়ির টায়ার ও রড দিয়ে মারধর করা হয়। অন্তত ২৪ জন হাসপাতালে ভর্তি। তাদের অনেকের হাড় ভেঙেছে। এ ছাড়া খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের জোর করে ধর্মান্তর করার অভিযোগ উঠেছে সেখানে। খবর এনডিটিভির।
খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার এসব ঘটনা নিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠন সোমবার রাতে একটি সংক্ষিপ্ত ‘সত্যানুসন্ধান’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ছত্তিশগড়ের দক্ষিণাঞ্চলে নারায়ণপুর ও কোন্ডাগাঁও জেলায় গত কয়েক দিনে অসংখ্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনের শুরুতে বলা হয়েছে, সংগঠিত প্রচারের মাধ্যমে দুই জেলায় ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মধ্যে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের জোর করে হিন্দুধর্মে ধর্মান্তর করা হচ্ছে। ৯ থেকে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নারায়ণপুরে অন্তত ১৮টি ও কোন্ডাগাঁও জেলার ১৫টি গ্রামের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা হয়েছে। অন্তত এক হাজার মানুষ গ্রামছাড়া হয়েছেন। তাদেরকে বলা হয়েছে, গ্রামে ফিরতে হলে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে হবে। আরও হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, ধর্মান্তরিত না হলে তাদেরকে হত্যা করাও হতে পারে।
প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবিরোধী আন্দোলনের পথিকৃৎ আসগর আলীর ছেলে ইরফান। তিনি সেন্টার ফর স্টাডি অব সোসাইটি অ্যান্ড সেক্যুলারিজম নামে মুম্বাইভিত্তিক থিঙ্কট্যাংকের পরিচালক। সঙ্গে ছিলেন ঝাড়খণ্ডের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক অশোক ভার্মা, দিল্লির ক্যাথলিক বিশপ কনফারেন্স নামে একটি সংগঠনের প্রতিনিধি নিকোলাস বারলা, একটি বামপন্থী সংগঠনের প্রতিনিধি ব্রিজেন্দ্র তিওয়ারি এবং আইনজীবী ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী দুই সংগঠন।