নাশকতার অভিযোগে পল্টন ও বাড্ডা থানায় দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ডিসেম্বর) রিজভীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ দিন পুলিশ তিন মামলায় রিজভীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
রিজভীর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিজয়নগরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ২০০/২৫০ জন লাঠিসোটা নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ময়লার গাড়ির চালক আয়নাল বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন— জামায়াত নেতা মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আজিজুল বারী হেলাল, সাইফুল ইসলাম নিরব, শফিউল বারী বাবু ও মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে বাবু (মৃত)।
পরে মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খান। এ মামলাটির চার্জ শুনানির জন্য আগামী ২৯ মার্চ ধার্য রয়েছে।
এছাড়া ২০১৩ সালে দলের অফিসের সামনে নাশকতার অভিযোগে পল্টন থানায় এবং ২০১৫ সালের বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান, আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।