‘দেশ ও জাতি গঠনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য’

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ফাইল ছবি

দেশ ও জাতি গঠনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার সঙ্গে যতবেশি সম্পৃক্ত রাখা যাবে, তারা তত বেশি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে। চিন্তা-চেতনা ও মননে আরো বেশি পরিপক্ক ও উন্নত হবে তারা।

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

universel cardiac hospital

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খেলাধুলা ভালোবাসতেন এবং অন্যদের এ ক্ষেত্রে উৎসাহ যোগাতেন। স্বাধীনতার পরপরই ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে তিনি গঠন করেছিলেন ক্রীড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেটি আজকের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। একই বছর প্রতিষ্ঠা করেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনসহ অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশন।

তিনি বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ক্রীড়া পরিদপ্তর কর্তৃক চতুর্থবারের মতো ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২২’ ও তৃতীয়বারের মতো ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)-২০২২’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

ফুটবল খেলাকে ঘিরে দেশের মানুষের রয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক প্রতিভাবান ফুটবলার সুযোগ-সুবিধা ও পরিচর্যার অভাবে তাদের প্রতিভা বিকশিত করতে পারে না। এক্ষেত্রে ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণে বয়সভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। এরই মধ্যে বয়সভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে উঠে এসে অনেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনন্য প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সম্প্রতি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতে দেশের জন্য গৌরব বয়ে এনেছে। দেশের ফুটবলকে আরও এগিয়ে নিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশে ফুটবল ফেডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমি আশাকরি, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’ বাংলাদেশকে একটি প্রতিষ্ঠিত ফুটবল শক্তিতে পরিণত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

আমি আশাকরি, বিগত বছরের মতো এবারও এ প্রতিযোগিতায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এবং এর মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে অনেক প্রতিভাবান তরুণ ক্রীড়াবিদ, যারা আগামীতে দেশের ফুটবল অঙ্গনকে আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ করবে। আমি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ এ আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং টুর্নামেন্টের সার্বিক সফলতা কামনা করছি।

শেয়ার করুন