দ্বিতীয় দিনেও বিকল মেট্রোরেলের ভেন্ডিং মেশিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

মেট্রোরেলের ভেন্ডিং মেশিন

মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনে দ্বিতীয় দিনের টিকিট বিক্রির আধাঘণ্টা পরই ভেন্ডিং মেশিন বিকল হতে দেখা গেছে। যাত্রীরা নির্ধারিত গন্তব্যের টিকিট হাতে পেলেও তাদের কাছ থেকে টাকা কাটা হয়নি। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় টিকিট বিক্রয় মেশিনের এ ত্রুটি ধরা পড়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনের একটি মেশিনের লাইনে দাঁড়ান যাত্রীরা। আধাঘণ্টা টিকিট বিক্রি চলার পরই বন্ধ হয়ে যায় কাউন্টারের দক্ষিণ পাশের একটি মেশিন। সকাল সাড়ে ৮টায় উত্তরা দিয়াবাড়ী স্টেশনে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটতে মেশিনে ১০০ টাকা দেন এক যাত্রী। পরে আবার ২০ টাকা দেন তিনি। এতে দুটি টিকিটসহ ৬০ টাকা ফেরত পান ওই যাত্রী। এরপর থেকেই বিকল হয়ে পড়ে মেশিনটি।

universel cardiac hospital

কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জানান, এক যাত্রী ভাঁজ করা ১০০ টাকা মেশিনে দেন। টাকাটা একটু পুরনো হওয়ায় মেশিন সেটি ভালোভাবে হয়তো শনাক্ত করতে পারেনি। এছাড়া কার্ডও শেষ হয়ে গেছে।

তরিকুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, লাইনে এসে দাঁড়িয়ে দেখি একটা মেশিন নষ্ট। তাই অন্য একটি লাইনে দাঁড়ালাম। সবগুলো মেশিন সচল থাকলে টিকিট কাটতে সুবিধা হতো।

এর আগে মেট্রোরেল সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার প্রথম দিন গতকাল বৃহস্পতিবারও ভেন্ডিং মেশিন বিকল হওয়ায় যাত্রীদের টিকিট কাটতে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।

গতকাল মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, টিকিটের বিক্রয় মেশিন বা ভেন্ডিং মেশিনে খুচরা টাকা না রাখায় পাঁচশো বা হাজার টাকার নোট দিয়ে টিকিট কাটতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

তারা দাবি করেন, ভেন্ডিং মেশিনে কোনো সমস্যা নেই। তবে যাত্রীরা বড় নোট দিলে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য মেশিনের ভেতর খুচরা টাকা মজুত রাখা ছিল না। এ কারণেই প্রথম দিন কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। আগামী দিন থেকে এ সমস্যা আর থাকবে না।

মেট্রোরেলের আগারগাঁও থাকে উত্তর উত্তর স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার আগারগাঁও স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, যারা ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট দিয়ে টিকিট কাটতে গিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে মেট্রোর ভেন্ডিং মেশিং বিকল দেখানো হচ্ছিল। তবে এক্ষেত্রে ভেন্ডিং মেশিনের কোনো সমস্যা ছিল না বলে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে।

আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনের ভেন্ডিং মেশিনের কারিগরি দায়িত্বে থাকা খায়রুল ইসলাম গতকাল জানিয়েছিলেন, ৬০ ও ১০০ টাকার টিকিট কাটার জন্য ভেন্ডিং মেশিন প্রস্তুত করা হয়েছে। কোনো যাত্রী ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট দিলে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার মতো টাকা মেশিনে মজুত রাখা ছিল না। এ কারণেই ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট দেওয়ার পর মেশিন বিকল দেখাচ্ছিল।

এদিকে প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকালেও মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

শেয়ার করুন