প্রতিনিয়ত নানা ঘটনা প্রবাহে বছর জুড়েই আলোচনায় ছিল পুরান ঢাকায় অবস্থিত নিম্ন আদালত। সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল বছরের শেষ প্রান্তিকে আদালত প্রাঙ্গণে ফিল্মি স্টাইলে জঙ্গি ছিনতাই। এ ঘটনা হতবিহ্বল করে দেয় দেশকে। বছর শেষে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মামলায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালতপাড়া।
এছাড়াও সরকারদলীয় এমপি হাজী সেলিমের আত্মসমর্পণের পর কারাগারে যাওয়া। রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যাকাণ্ডের পর আসামিদের গ্রেপ্তার, রিমান্ড ও কারাগারে পাঠানোর বিষয়টিও ছিল আলোচিত। চিত্রনায়িকা শিমু হত্যা, পরীমণির মাদক মামলায় বিচার শুরু, ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা, স্বামীর বিরুদ্ধে অভিনেত্রী সারিকার যৌতুকের মামলায়ও সরগরম ছিল আদালতপাড়া।
জঙ্গি ছিনতাই
সিজেএম আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা বিদায়ী বছরে আদালতপাড়ায় সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল। গত ২০ নভেম্বরের ঘটনাটি দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জায়গা করে নেয়। অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনায় আদালতে নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। আদালতপাড়ায় বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। জঙ্গিদের বিশেষ ব্যবস্থায় আদালতে আনা-নেয়া করা হয়।
বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিভাগীয় সমাবেশের অংশ হিসেবে ঢাকায় বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার হিড়িক পড়ে। বিএনপি নেতা হাবিবুন নবী খান সোহেল, নিপুণ রায়, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল ইসলাম নিরব, ইশরাক হোসেনসহ শতাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ফখরুল-রিজভী-আব্বাস গ্রেপ্তার
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুল কাদের জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এজাহারে নাম না থাকলেও একই মামলায় এরপর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে ৮ ডিসেম্বর দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার দেখায় ডিবি পুলিশ। এদিন বিকেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জামায়াত আমির শফিকুর রহমানের রিমান্ড
জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে। তিন দফা রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। একই মামলায় শফিকুর রহমানকে ১২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। এরপর দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
কারাগারে এমপি হাজি সেলিম
দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের কারাগারে যাওয়ার ঘটনাটিও ছিল বেশ আলোচিত। গত ২২ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যাকাণ্ড
গত ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামের এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এ ছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের পর ওই দিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। এ ঘটনায় আসামি গ্রেপ্তার ও রিমান্ড নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণ ছিল সরগরম।
বুয়েটের ছাত্র সানি-ফারদিন হত্যা মামলা
বছরের মাঝামাঝি ও শেষ সময়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুই শিক্ষার্থী হত্যা মামলাও ছিল আলোচনায়। গত ১৪ জুলাই বিকেলে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন মৈনট ঘাটে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তারিকুজ্জামান সানি। পরদিন মৈনট ঘাট থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ জুলাই বিকেলে সানির বড় ভাই হাসানুজ্জামান সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ বন্ধুকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল ফারদিন নূর পরশের মামলাটি। ফারদিন হত্যার ঘটনায় ৯ নভেম্বর রাতে তার বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা
মারধর ও সাড়ে চার লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানার ওসি এম এস মুর্শেদসহ পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ২৭ অক্টোবর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে মামলাটি করেন বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যাক্তি। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- লালবাগ থানার এস আই তারেক নাজির, তারেক আজিজ, মো. আতোয়ার হোসেন ও কৃষ্ণ চন্দ্ৰ মিত্র।
অন্যায়ভাবে আটকে রেখে মারধর, মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে কোতয়ালী থানার সাব-ইন্সপেক্টর রুবেল মল্লিকসহ দুই জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে ১৮ জানুয়ারি মামলা করেন মুন্সিগঞ্জ জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এস এম সাকিব হোসেন। আদালত মামলাটি আমলে গ্রহণ করে আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
এদিকে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে ১০ নভেম্বর দারুস সালাম থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে একটি মামলা করেন গাজীপুর পুলিশ লাইনের কনস্টেবল আ. রাজ্জাক। আদালত মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।
বনজ কুমারের মামলায় কারাগারে বাবুল আক্তার
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে ১২ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে- ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু (৪৫) ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া (৭২)। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
ডা. সাবরিনা-আরিফের কারাদণ্ড
গত ১৯ জুলাই করোনা ভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী এবং প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের ১১ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। এর মধ্যে কোভিড সনদ জালিয়াতি এবং জাল সনদকে আসল হিসেবে দেখানোর দায়ে দুটি ধারায় চার বছরে করে এবং প্রতারণার ধারায় তিন বছরের সাজা হয়। তিন ধারার সাজা পর্যায়ক্রমে কার্যকর হবে। ফলে আসামিদের ১১ বছর করে জেলে কাটাতে হবে।
জিকে শামীমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গত ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র্যাব অভিযান চালায়। এসময় আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এক কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করা হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা হয়।
মিজান-পার্থ গোপালের কারাদণ্ড
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান মিজানের তিন বছর ও দুদকের তৎকালীন পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের আট বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচারের মামলায় গত ৯ জানুয়ারি বরখাস্ত হওয়া সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) পার্থ গোপাল বনিককে ৮ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
চিত্রনায়িকা শিমু হত্যার বিচার শুরু
চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যার ঘটনায় করা মামলার তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ২৯ নভেম্বর ঢাকার ৪র্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়। এ বছরের ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে চিত্রনায়িকা শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে তার পরিচয় মিলছিল না। ওইদিন রাতে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নাম-পরিচয় শনাক্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
স্ত্রীর মামলায় আদালতে ক্রিকেটার আল-আমিন
যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। ১ সেপ্টেম্বর নির্যাতন ও মারধরের অভিযোগ এনে আল আমিনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরের দিন তদন্ত ও যাচাই-বাছাই শেষে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ ইসরাত জাহানের অভিযোগটি মামলা আকারে নথিভুক্ত করে।
একসাথে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরণপোষণ ও সন্তানদের খরচের দাবিতে ৭ সেপ্টেম্বর আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন ইসরাত জাহান। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি আমলে গ্রহণ করেন। এরপর ১৬ নভেম্বর দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধারের আরেকটি মামলা করেন তিনি।
পরীমণি ও ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের পাল্টাপাল্টি মামলা
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে রাজধানীর বোট ক্লাবে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি ও ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের ঘটনা কমবেশি সবারই জানা। সেসময় হঠাৎ পরীমণির এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সরগরম হয়ে ওঠে মিডিয়াপাড়া। যা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। পরীমণি অভিযোগ তোলেন মারধর ও ধর্ষণচেষ্টার। আর ব্যবসায়ী নাসির অভিযোগ করেন, পরীমণি ও তার সহযোগীরা তাকে (নাসির উদ্দিন) মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও বোট ক্লাবে ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনায় পরীমণি সাভার থানায় নাসির উদ্দিনসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা করেন। যা এখন আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
সর্বশেষ গত ৬ অক্টোবর ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি নতুন দিন দিন ধার্য করেন।
এদিকে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা আরেকটি মামলার কার্যক্রম আদালতে চলমান রয়েছে। এ মামলায় গত ১৪ নভেম্বর সাক্ষ্য দিয়েছেন জব্দ তালিকার সাক্ষী পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল। এরপর ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্য দেন আরেক সাক্ষী রাজিব হাসান। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী বছরের ১২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।