আইনজীবী ও কর্মচারীদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালত। বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অসৌজন্যমূলক আচরণ, বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ, কর্মচারীদের মারধর, মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আদালতের কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করেন। আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে এ কর্মসূচি পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। এতে ১০ থেকে ১৫ হাজার বিচারপ্রার্থী সেবা বঞ্চিত হন।
এদিকে কর্মবিরতির প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির নেতা ও সদস্যরা আদালত চত্বরে মিছিল করেন। মিছিলে জেলা জজ শারমিন নিগারের অপসারণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়। এসব পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোনো আদালতে বিচারিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি।
এর আগে রোববার থেকে আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-১ বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করেন আইনজীবীরা। আইনজীবী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বার অ্যাসোসিয়েশন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে এ বিচারকের প্রত্যাহার দাবি করে জেলা আইনজীবী সমিতি।
আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালতে কয়েকজন আইনজীবী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকটি মামলা দাখিল করেন।
দাখিলে বিলম্ব হওয়ার কারণে ওই আদালতের বিচারক মামলাগুলো গ্রহণ করেননি। আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামলাগুলো নেওয়ার অনুরোধ করলেও বিচারক তা শোনেননি। পরে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সশরীর ওই বিচারকের এজলাসে গিয়ে মামলাটি নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তখন বিচারক তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও আইনজীবীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে।