রাজনৈতিক নাটকিয়তার এমন দিন গত এক শতকেও দেখেনি মার্কিন কংগ্রেস। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পদে রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাককার্থির হার এ নাটকিয়তার জন্ম দিয়েছে। অবশেষে রাতে মুলতবি ঘোষণা করা হয় অধিবেশন।
১৯২৩ সালের পর এবারই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ প্রথম ধাপের ভোটে দেশটির স্পিকার নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলো। মঙ্গলবার নিম্নকক্ষের ভোটের এক পর্যায়ে রক্ষণশীলরা রিপাবলিকান সংসদ সদস্য জিম জর্ডানকে ম্যাককার্থির বিপক্ষে দাঁড় করান। যেখানে জর্ডান নিজেই স্পিকার পদে ম্যাককার্থিকে সমর্থন দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত জর্ডানের পক্ষে ২০ রিপাবলিকান সদস্য ভোট দেন। এতেই স্পিকার হওয়ার পথ আটকে যায় ম্যাককার্থির।
একটি নতুন কংগ্রেসের সূচনা রিপাবলিকান পার্টির জন্য জয়ের শুরু মাত্র মনে করা হয়েছিল। কারণ গত নভেম্বরের নির্বাচনের পরে নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে যায়। অথচ ম্যাককার্থিকে দেখতে হলো দলীয় সহকর্মীদের বিদ্রোহ, আর নিজে এমন ইতিহাস গড়লেন যেখানে ভবিষ্যতেও কেউ তার সঙ্গী হতে চাইবেন কিনা সন্দেহ।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) নিম্নকক্ষের অধিবেশন আবারও বসার কথা রয়েছে। আবারও নির্বাচন হবে। ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসম্যান এখন পর্যন্ত স্পিকারের জন্য টানা তিনটি ভোটে হেরেছেন। তার বিজয়ের পথ কী হতে পারে তা এখনো স্পষ্ট নয়। কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়া পর্যন্ত ভোট দিতে থাকবেন সংসদ সদস্যরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শেষ পর্যন্ত ম্যাককার্থি জয়ী হলেও পরবর্তী দুই বছর উদার ও ডানপন্থি রিপাবলিকানদের বিরোধ যে জিইয়ে থাকবে মঙ্গলবার তারই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
গতবছর নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনে নিম্নকক্ষ দখলে এলেও রিপাবলিকানদের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের ব্যবধান খুব কম। স্পিকার হতে গেলে ম্যাককার্থিকে দলের অন্তত ২১৮ সদস্যের সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে।
রাজনৈতিক জীবনে ম্যাককার্থি যতটা বন্ধু বানিয়েছেন তার চাইতে শত্রু বেশি তার। রিপাবলিকান এক লবিস্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলছেন, অনেকে তাকে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারণে পছন্দ করেন না। তবে বুধবারের ভোটাভুটিতে কি ফল আসে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সূত্র: বিবিসি