চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে জেলার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতি থাকবে দু-এক দিন। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে ছিন্নমূল ও অতিদরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ চরমে। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় চারদিন পরে সূর্যের দেখা মিললে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে আসে। যাতে বেড়েছে শীত ও ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজও সূর্যের দেখা মিললেও শৈত্যপ্রবাহের কারণে কমেনি শীতের দাপট। ফলে আবার জনজীবনে স্থবিরতা নেমে বেকায়দায় রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
শহরের রিকশাচালক মাসুম বলেন, ঠান্ডার জন্য রিকশা চালানো যাচ্ছে না। হাত-পায়ের পাতা মনে হচ্ছে বরফ হয়ে যাচ্ছে। পেটের দায়ে বাড়ি থেকে বের হলেও প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল শীত কিছুটা কমেছিলো কিন্তু আজ আবার শীত পড়ছে।
দিনমজুর কাশেম আলী বলেন, একদিন পরেই আবার শীত বেড়েছে। আজও কাজ পায়নি। এভাবে চললে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে।
ইউসুফ নামের এক কৃষক বলেন, ভোরে কাজে যেতে পারিনি। এভাবে ঠান্ডা পড়লে কাজে যাওয়া সম্ভব হবেনা। ফসলের ঠিকমতো পরিচর্যা করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে শীতজনিত কারণে হাসপাতালগুলোতে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ১৩টি বেডের বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৫০ জন। অপরদিকে প্রতিদিন ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি হচ্ছে শতাধিক।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, তীব্র শীতে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে প্রচুর রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া প্রতিদিন তিন থেকে চারশ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছে। শীতজনিত কারণে নিউমোনিয়া রোগী সংখ্যাও বাড়ছে।