১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য। টি-টোয়েন্টিতে বেশ কঠিনই বলতে হবে। তবে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স হাল ছাড়লো না। সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালকে ৪ উইকেট আর এক ওভার হাতে রেখেই হারিয়ে দিলো তারা। পেলো টানা দ্বিতীয় জয়।
বড় রান তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই কলিন অ্যাকারম্যান (১) রানআউট হলে ধাক্কা খায় সিলেট। তবে দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত আর তৌহিদ হৃদয় ৬৭ বলে ১০১ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান।
৪০ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৪৮ রান করে রানআউটের ফাঁদে পড়েন শান্ত। হাফসেঞ্চুরিয়ান তৌহিদ হৃদয় ৩৪ বলে ৭ চার আর ১ ছক্কায় করেন ৫৪।
এরপর ১৮ বলে ৪৩ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন কদিন আগেই জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া জাকির হাসান। যে ইনিংসে ৪টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ব্যাটার।
শেষটা করেছেন মুশফিকুর রহিম আর থিসারা পেরেরা। মুশফিক ১১ বলে ২৩ আর ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করা পেরেরা ৯ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ব্যাট হাতে বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচেই ঝড় তুললেন সাকিব আল হাসান। ২৬ বলে হাঁকালেন ফিফটি, উইলো থেকে বেরিয়ে এলো ৩২ বলে ৬৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। সাকিবের এই ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৯৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় ফরচুন বরিশাল।
মিরপুর শেরে বাংলায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় বরিশাল। শুরু থেকেই মারমুখী চেহারায় ছিল দলটি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটেই তোলে ৫৪ রান। চতুরঙ্গ ডি সিলভা ২৫ বলে ৩৬ আর এনামুল হক বিজয় ২১ বলে খেলেন ২৯ রানের ইনিংস।
ইফতিখার আহমেদ ১০ বলে ১৩, মাহমুদউল্লাহ ১২ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৯ আর হায়দার আলি ৬ বলে ৩ রান করেই সাজঘরের পথ ধরেন।
তবে সাকিব খেলেছেন চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস। মাশরাফি বিন মর্তুজার বলে আউট হওয়ার আগে ৩২ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে ৭টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। করিম জানাত ১২ বলে করেন অপরাজিত ১৭ রান।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের সফলতম বোলার ছিলেন মাশরাফি। তবে ৩ উইকেট পেলেও ছিলেন বেশ খরুচে, ৪ ওভারে দেন ৪৮ রান।