নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যে কারো অধীনেই থাকতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আজ রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ ব্যবস্থায় এনআইডি ও ভোটার নম্বর ব্যবহারবিষয়ক মতবিনিময় সভায় তারা এমন মত দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
মো. আলমগীর বলেন, অনেক বিশেষজ্ঞ নির্বাচন কমিশনে এনআইডি রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন। সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে এনআইডি যে কারো অধীনেই থাকতে পারে। তবে দীর্ঘ অভিজ্ঞতার বিবেচনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চেয়ে নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা চাইলে সরকার কাজে লাগাতে পারেও বলে পরামর্শ তাদের।
যদিও এক্ষেত্রে তারা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধীনে দিতে চাপ নয়, বরং একটি ইউনিক ডাটাবেজ তৈরি ও তার নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বলেও জানান মো. আলমগীর।
তিনি জানান, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন টেকনিক্যালি কোনো সমস্যা হবে না, সার্ভার তো নির্বাচন কমিশনের কাছেই থাকছে।
মো. আলমগীর বলেন, ‘সভায় অনেকে অনেক রকম মত দিয়েছেন; কেউ বলেছেন সার্ভার তো নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকছে। এখন আমরা এনআইডি বলি তখন ভোটার আইডি বলা হবে। এটা কোনো সমস্যা না। এনআইডি নিয়ে কাজ করা নির্বাচন কমিশনের কাজের মধ্যে পড়ে না। কারণ কেন এ অতিরিক্ত কাজের দায়িত্ব কমিশন নিতে যাবে। নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো সুষ্ঠু নির্বাচন করা, ভোটার তালিকা করা। অন্যকাজ করলে তো নির্বাচন নিয়ে সময় দিতে সমস্যা হয়ে যেতে পারে। এটা যেহেতু দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না, সেহেতু এটা না থাকাই ভালো।’
আবার অনেকে বলেছেন, সরকার যদি নিতে চায়, তাহলে সরকার নিতে পারে; এটি সরকারের কাজ, কমিশনের নয়। যেহেতু কমিশন এত দিন ধরে করে আসছে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে, যদি কমিশনে রাখা যায়, তাহলে আরও দক্ষতার সঙ্গে করবে তারা। অন্য জায়গাতে গেলে নতুন করে সবকিছু করতে হবে, তাদের অনেক সময় লাগবে। এই যে সময় লাগার বিষয়টি সেটি মানষের সেবা পেতে কিছুটা হলেও বিঘ্ন হবে। অতএব সরকারকে যদি বোঝানো যায় যে, আপনারা নিলে নিতে পারেন, তবে এখানে থাকলে সার্ভিসটা মানে মানুষ ভালো সেবা পাবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সবকিছু বিবেচনা করে এনআইডি কমিশনের কাছে রাখা যৌক্তিক কিনা তা পর্যালোচনা করে সরকারকে সিদ্ধান্ত জানাবে কমিশন। আমরা বিশেষজ্ঞদের কথা শুনেছি, তারপর আমরা বসব। তারপর আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, আমরা যেটাই বলি না কেন সেটা যুক্তিযুক্ত হতে হবে। আমরা কোনো অযৌক্তিক কথা বলব না। আমরা কোনো পক্ষপাতিত্ব করব না। আমাদের কোনো চাওয়া নেই, যেটা যুক্তিযুক্ত ও ভালো সেটাই আমাদের চাওয়া। সেক্ষেত্রে সরকারের চাওয়া যদি যুক্তিসংগত হয় তাহলে সেখানে যাবে। আর যদি দেখি আমাদের চাওয়ায় যুক্তি আছে, সেটা আমরা সরকারকে বলব।