ঘি ও ভোজ্যতেলের সংকট পাকিস্তানে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভোজ্যতেল

পাকিস্তানে ময়দা ও মুরগির দাম ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে এগুলো অনেক পরিবারের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। উৎপাদনকারী ব্যক্তিরা বলছেন, তাৎক্ষণিকভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারলে ঘি ও ভোজ্যতেলের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপকরণের সরবরাহেও ঘাটতি দেখা দেবে। রমজান মাসকে সামনে রেখে এগুলোর দাম আরও বেড়ে যাবে। খবর দ্য ডনের।

পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ২৭ ডিসেম্বর পাম ওয়েল, সয়াবিন তেল এবং সূর্যমুখী তেলের মতো পণ্যগুলোকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকায় যুক্ত করে। উৎপাদনকারীদের আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার আবেদনে ব্যাংকগুলো সাড়া দিচ্ছে না। পণ্য খালাসের কাগজপত্রও দেওয়া হচ্ছে না। এমন অবস্থায় উৎপাদনকারীদের কাছে পাম ওয়েল, সয়াবিন তেল ও সূর্যমুখী তেলের মজুত ক্রমাগত ফুরিয়ে আসছে।

শুল্ক গুদাম থেকে ৩ লাখ ৫৮ হাজার টন ভোজ্যতেল খালাস করা যাচ্ছে না। তা ছাড়া করাচি ও বিন কাসিম বন্দর এলাকায় প্রায় ১০টি জাহাজের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার টন কাঁচামাল খালাসের অপেক্ষায় আছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীদের বলেছে, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে ভোজ্যতেলকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং দ্রুতই তা কার্যকর হবে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে এমনটাই জানানো হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তান বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিভিএমএ) মহাসচিব উমর ইসলাম খান বলেন, পাম অয়েলের দাম মনপ্রতি ১৩ হাজার পাকিস্তানি রুপি থেকে বেড়ে ১৪ হাজার রুপিতে দাঁড়িয়েছে। ঘি ও ভোজ্যতেলের দাম কেজি/লিটারপ্রতি ২৬ রুপি বেড়েছে।

শেয়ার করুন