নির্বাচনে কারসাজি নিয়ে সন্দেহ করা যুক্তরাষ্ট্রের জ্ঞানের অভাব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিলেট প্রতিনিধি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচনে কারসাজি নিয়ে সন্দেহ করা যুক্তরাষ্ট্রের জ্ঞানের অভাব বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আজ রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে। কোনোদিন নির্বাচনে কারসাজি করেনি। এ ব্যাপারে তারা যে সন্দেহ করে, তাদের ইতিহাস সম্পর্কে অভিজ্ঞতার ও জ্ঞানের অভাব। তারা হয়তো বিষয়গুলো ঠিকমতো অবজার্ভ করছে না বলে অনেক সময় অবান্তর মন্তব্য করে। আশা করব, তারা আমাদের ইতিহাস পড়ুক ও চলার পথ দেখুক।

universel cardiac hospital

আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা অঙ্গীকার করেছি এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন, আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য করার। আমরা সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। আমরা ও আমাদের দল বিশ্বাস করে, আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। এটা আমাদের স্লোগান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, আমেরিকার ৭২ শতাংশ জনগণ মনে করে তাদের দেশের ডেমোক্রেসি খুব দুর্বল। রিপাবলিকান পার্টির ৭৭ শতাংশ মনে করে গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ফ্রড ইলেকশন। দ্য হ্যাভ স্টুলেন। এ রকম তাদের মন–মানসিকতা। আমাদের দেশেও কিছু মানুষের মন-মানসিকতা এ রকম। আমাদের অন্যের মাতব্বরি করে পরামর্শ দেওয়ার দরকার নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কম ভোট পড়ে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই দেশে গড়ে ৫০ শতাংশের নিচে ভোট দেয়। আমাদের দেশে ৭২, ৮০, ৯০ শতাংশ ভোট পড়ে। সবশেষ গাইবান্ধায় ভালো ভোট পড়েছে। আমাদের দেশের নির্বাচনগুলো খুবই অংশগ্রহণমূলক, স্বতঃস্ফূর্ত ও আনন্দময় হয়। সেখানকার দেশে নির্বাচনের এক মাস আগে ক্যাম্পেইন (প্রচারণা) হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এক বছর আগেই শুরু হয়ে যায়।

‘নির্বাচনে পর্যবেক্ষক অ্যালাউ করা হবে এবং উই আর নাথিং টু হাইড’ বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ই-গেট কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মান বাড়বে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে আমাদের পাসপোর্টের মান আরও বৃদ্ধি পাবে। তখন বহু দেশে যাওয়ার জন্য আমাদের ভিসার দরকার হবে না। অনেক দেশ সাগ্রহে আমাদের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করতে চাচ্ছে। এটা ইতিবাচক।

শেয়ার করুন