ঘন কুয়াশায় আর কনকনে শীতে কুড়িগ্রামে স্থবির হয়ে পড়েছে জনপদ। বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। মাত্রাতিরিক্ত কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পুরো জেলা। একই সঙ্গে কমছে তাপমাত্রা। এতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া বলেন, রোববার ভোর ৬ টায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১১-১৩ মধ্যে উঠা নামা করছে। দিন দিন এ জেলার তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে এবং শীতের তীব্রতা বাড়বে।
রিকশাচালক আইনুল হক বলেন, যে কনকনে ঠান্ডা আর ঘনকুয়াশা পড়েছে রিকশা বের করে বিপদে পড়েছি। রিকশা হান্ডেল ধরে রাখতে পারছি না। শরীর বরফ হয়ে যাচ্ছে।
দিনমজুর ইব্রাহিম হোসেন বলেন, এত ঠান্ডা কাজে বের না হয়ে কি করি সংসার তো চালাতে হবে। কাজ না করলে বউ বাচ্চাকে কি খাওয়াবো।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। উষ্ণ কাপড় না থাকায় অনেকে খড়কুটো পুড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কেউবা আশায় বুক বেধে আছেন এক টুকরো গরম কাপড়ের জন্য।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্বাবাধায়ক ডা. মো. শহিদুল্লাহ লিঙ্কন বলেন, কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে গত মাসের চেয়ে এ মাসে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়াও আউটডোরে প্রতিদিন ৭০০-৮০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। সদর হাসপাতালসহ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ক্লিনিকগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেড়েই চলছে।
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার নয়টি উপজেলায় ৩৮ হাজার শীতবস্ত্র বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা বিতরণের কার্যক্রম অব্যাহত। এছাড়াও দুস্থ ও অসহায় মানুষদের পাশে সরকারি বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সংগঠন শীতবস্ত্র বিতরণের কাজ শুরু করছে।