মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের প্রেসবক্স কিংবা ক্রিকেটপাড়ায় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে, বিপিএলের অন্যতম ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক কর্মকর্তাকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বাজিকরদের পক্ষ থেকে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি।
যদিও সিলেটের ওই কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক সেই প্রস্তাব শুধু প্রত্যাখ্যানই করেননি, সঙ্গে সঙ্গে তা জানিয়ে দিয়েছেন আইসিসির দুর্নীতি দমন সংস্থা আকসুকে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ সংবাদ জানা গেলেও, সিলেটের ওই কর্মকর্তার নাম জানা যায়নি এবং কে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন, সেটাও জানা যায়নি।
মিরপুরে ছড়িয়ে পড়া এ খবর চলে গেছে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন এবং বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকের কানেও। পক্ষ থেকে তাদের দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা বিষয়টি পুরোপুরি উড়িয়েও দেননি, আবার স্বীকারও করেননি।
তারা জানিয়েছেন, তারাও বিষয়টা উড়োউড়ো শুনেছেন। অন্যদের মতো তারাও বিষয়টা জেনেছেন এবং বিসিবির সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টকে মাঠে নামিয়েছেন, ঘটনার সত্যতা জানার জন্য। নিশ্চিতভাবে কোনো কিছু জানা গেলেই কেবল এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বক্তব্য দেওয়া হবে বিসিবির পক্ষ থেকে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, আমরাও আপনাদের মতো বিষয়টা শুনেছি। তবে অফিসিয়াল কিছুই নয়। আমরা উড়োউড়ো শুনেছি যে, কোনো একটা দলের খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাকে বাজিকরদের পক্ষ থেকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত অফিসিয়াল কোনো অভিযোগ না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ নিয়ে আমরা আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে পারি না।
তিনি বলেন, আমাদের সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। তারা চোখ-কান খোলা রাখছে। কোনো ক্লু পেলেই তারা এ নিয়ে এগোবে। পুরো বিষয়টা তারাই দেখবে। শুধু এটুকু বলতে পারি, আমরাও উড়োউড়ো খবর শুনছি।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, আমি সিলেটের এক ক্রিকেটারের কাছ থেকে শুনেছি যে তাদের একজনকে নাকি এমন একটা প্রস্তাব দেওয়া গয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছি না। আমাদের এ বিষয়ে আরও ভালোভাবে জানতে হবে। এ নিয়ে আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ করছে।