প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করার মতো শক্তি বাংলাদেশে নেই৷ আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের শিকড় অনেক গভীরে, উৎখাত করার মতো শক্তি দেশে নেই। আমরা সরকারে যখন আছি জনগণের জানমাল রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আওয়ামী লীগ এমন একটি সংগঠন, আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে জন্ম নেয়নি। আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে এদেশের মাটি ও মানুষের কাছ থেকে। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে আইয়ুব খান চেষ্টা করেছে, ইয়াহিয়া চেষ্টা করেছে, জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া চেষ্টা করেছে। পারেনি। পারবেও না ইনশাআল্লাহ। আর কোনোদিন পারবে না।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা মানে দেশের জনগণের সেবা করা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা মানে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ টানা ১৪ বছর ক্ষমতায়। ১৪ বছর আগের বাংলাদেশ কী ছিল সেটা যদি মানুষ একটু স্মরণ করে। ৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ কোথায় ছিল? অর্থনৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে সামাজিকভাবে, ভোটের ক্ষেত্রে নির্বাচনের ক্ষেত্রে। সিল মেরে বাক্স ভরে ফেলা..ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের যেতে না দেয়া। হ্যাঁ, না বাক্সের হ্যাঁ’র বাক্স আছে, না’র বাক্স নেই। ভোট দিতে গিয়েছে কেউ ধানের শীষে না দিলে ওটা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আবার নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১০টা হুন্ডা, ২০টা গুন্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা এরকম কথাই তো ছিল। এরকম নির্বাচন ছিল। এখন তো তা নাই। তারপরও প্রশ্ন তোলে কারা? যারা নির্বাচনকে কলুষিত করেছে, ধ্বংস করেছে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তারাই প্রশ্ন তোলে। তাদের প্রশ্ন তোলার কি অধিকার আছে?
তিনি আরও বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারছে। আমাদের তো হস্তক্ষেপ করার দরকার নেই। জনগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। কারণ আওয়ামী লীগ যে কথা দেয়, সেই কথা রাখে। আমরা যতটুকু করতে পারব ততটুকুই বলি।