টানা তিন ম্যাচে সেরার পুরস্কার তৌহিদ হৃদয়ের হাতে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে কাগজে-কলমে শক্তিশালি দলের তালিকায় রাখেনি কেউ। রাখলেও সেটা ছিল সাত দলের মধ্যে চার কিংবা ৫ নম্বরে। অথচ সেই সিলেটই কি না, টানা চার ম্যাচের সবগুলোতে জয়ী। সবচেয়ে বড় কথা, সিলেটের এই সাফল্য উঠে আসছে এক তরুণের ব্যাটে ভর করে। তিনি হলেন তৌহিদ হৃদ।

এই তরুণ মিডল অর্ডার ব্যাটারই বারবার জিতিয়ে দিচ্ছেন সিলেটকে। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে মাঠেই নামতে হয়নি তাকে। রেজাউর রহমান রাজার বোলিং তোপে চট্টগ্রাম অলআউট হয়েছিলো ৮৯ রানে। ওই ম্যাচের সেরা রেজাউর রহমান রাজা।

পরের তিন ম্যাচে টানা ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার উঠলো তৌহিদ হৃদয়ের হাতে। তিন ম্যাচেই তার ব্যাটে ভর করে জয় পেলো সিলেট স্ট্রাইকার্স।

দ্বিতীয় ম্যাচে তারা মুখোমুখি হয়েছিলো ফরচুন বরিশালের। সাকিবের ব্যাটে ভর করে ১৯৪ রান করেছিলো বরিশাল। জবাব দিতে নেমে তৌহিদ হৃদয়ের ৫৫ রানের ওপর ভর করে ১ ওভার হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় পেয়ে যায় সিলেট। ম্যাচ সেরা হন তৌহিদ।

তৃতীয় ম্যাচে তারা মুখোমুখি হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। এই ম্যাচে কুমিল্লার করা ১৪৯ রানের জবাব দিতে নেমে তৌহিদ হৃদয় করেন ৫৬ রান। এবারও জয়ী সিলেট। ১৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জেতা ম্যাচটিতেও সেরা হলেন তৌহিদ হৃদয়।

গতকাল নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সের মুখোমুখি হলো সিলেট। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামার পর তৌহিদ হৃদয় যেন নিজেকে আরো মেলে ধরার সুযোগ পেলেন। শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে খেললেন ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। ৫টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার ছিল তার ব্যাটে।

তৌহিদের ব্যাটে ভর করে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০১। জবাব দিতে নেমে ঢাকা ডমিনেটর্স অলআউট ১৩৯ রানে। ৬২ রানে জিতে যায় সিলেট। যথারীতি গতকালও ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠলো তৌহিদ হৃদয়ের হাতে।

যদিও নিজে আজ পুরস্কার নিতে পারেননি তৌহিদ। তার হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তৌহিদ হৃদয় নাসির হোসেনের একটি জোরালো শট ফেরাতে গিয়ে আঙ্গুলে ব্যথা পান এবং মাঠ থেকে বেরিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে বাধ্য হন।

শেয়ার করুন