বিপিএল: টানা জয়ে অপ্রতিরোধ্য মাশরাফির সিলেট

ক্রীড়া ডেস্ক

ফাইল ছবি

ঢাকা ডমিনেটরস ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচ দিয়ে ঢাকায় প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। এই পর্বে টানা জয়ে অপ্রতিরোধ্য কেবল সিলেট স্ট্রাইকার্স।

১০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ঢাকাকে উড়িয়ে দিয়ে ৬২ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে সিলেট। সবমিলিয়ে ৪ ম্যাচের চারটিতে জিতে পুরো ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানে মাশরাফির দল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও খুলনা টাইগার্স বাদে বাকি দলগুলো ২ ম্যাচ খেলে একটি করে জয় পেয়েছে।

universel cardiac hospital

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ঢাকাকে ২০২ রানের লক্ষ্য দেয় সিলেট। কঠিন সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে। ৩০ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারানোর পর হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন ও নাসির হোসেন। এই দুইজনের ৪৭ বলে ৭৭ রানের জুটিতে স্বপ্ন দেখছিল ঢাকার সমর্থক। মিঠুন ২৮ বলে ৪২ রানে আউট হওয়ার পর নাসির চেষ্টা চালাতে থাকেন। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে তার সেই চেষ্টা বৃথা যায়। ৩৫ বলে ৪৪ রান করে আউট হন নাসির। এই দুইজনের বাইরে দিলশান মুনাবীরা (১২) কেবল দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন।

সিলেটের ইমাদ ওয়াসিম, মাশরাফি ও আমির দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। রেজাউর, থিসারা ও শান্ত নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। দ্বিতীয় ওভারেই তাসকিনের বলে মোহাম্মদ হারিস (৬) বিদায় নেন। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৭ বলে ৮৮ রানের জুটি গড়েন। তাদেই এই জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় মাশরাফির সিলেট। তবে ৩৯ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ রান করে নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হলে কিছুটা শঙ্কা জাগে। কেননা মুশফিকুর রহিম (৬), জাকির হাসান (১০), থিসারা পেরেরা (১১) আউট হলে দুইশো পেরুনোর সম্ভাবনা স্মিত হয়ে যায়। তবে এক প্রান্ত ধরে তৌহিদ হৃদয় যেভাবে ব্যাটিং করলেন সেটি ছিল অবিশ্বাস্য।

সিলেটের আগের দুই ম্যাচে জয়ের নায়ক ছিলেন তৌহিদ। মঙ্গলবার তিনিই নায়ক। তার ৮৪ রানের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে চলতি টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো ২০০ রানের ইনিংস দেখতে পারে ক্রিকেটপ্রেমীরা। ইনিংস শেষ হওয়ার ৪ বল আগে তৌহিদ আউট হন। আগে দুই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করা এই ব্যাটার মঙ্গলবার ১৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। ৪৬ বলে ৫ চার ৫ ছক্কায় তিনি তার ইনিংসটি সাজিয়েছেন। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০১।

ঢাকার বোলারদের মধ্যে আল আমিন হোসেন ৪৫ রানে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ৩৬ রানে দুটি এবং আরাফাত সানি ও আরিফুল হক নেন একটি করে উইকেট।

শেয়ার করুন