দেশের রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো নেতৃত্বে এসেছেন একজন ট্রান্সজেন্ডার। তাঁর নাম শিশির বিন্দু। তিনি রাজবাড়ী জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
শিশির বিন্দুর নেতৃত্বে আসার বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন দেশের প্রগতিশীল ব্যক্তিবর্গ ও নেটিজেনরা। তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনেকেই।
শিশির বিন্দুর নেতৃত্বে আসা নিয়ে ফেসবুকে অভিনন্দন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশের (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম লেখেন, বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো ছাত্র ইউনিয়নের হাত ধরে। দেশের রাজনীতির ইতিহাসে প্রথম যুক্ত হলো কোনো ট্রান্সজেন্ডার ছাত্রনেতা! বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন রাজবাড়ী জেলার সহসভাপতি হয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার শিশির বিন্দু…।
বিষয়টিকে ইতিবাচক উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অভিজিৎ সোম বলেন, আমাদের পাশের দেশ ভারতে ট্রান্সজেন্ডার আইনজীবী, কলেজ অধ্যক্ষসহ নানা পেশায় রয়েছেন। কিছুদিন আগে আমাদের দেশে একজন ট্রান্সজেন্ডার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। শিশির বিন্দু ছাত্ররাজনীতিতে এসেছেন, এটা খুবই ইতিবাচক দিক।
বুধবার এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন কাওসার আহমেদ রিপন ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম।
রাজবাড়ী জেলা ছাত্র ইউনিয়নের ১৫ সদস্যের কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহসভাপতি রাতুল ইসলাম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক হৃদয় খান, কোষাধ্যক্ষ সোহানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক লাবিব মাহমুদ, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক অর্নিকা দাস, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. সেলিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাফিদুল ইসলাম ও সদস্য মনজয় সরকার।
শিশির বিন্দুর বাড়ি রাজবাড়ীর সদর উপজেলায় সোনাকান্দর এলাকায়। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় শিশির। বর্তমানে তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতকোত্তর শেষ পর্বের শিক্ষার্থী।
শিশির বিন্দু বলেন, দুই বছর আগে রাজবাড়ীতে ছাত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হই। ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন সময় ছাত্রদের অধিকারে নানা কর্মসূচি পালন করতে দেখে তাঁদের কর্মসূচিতে আসতাম। আমিও ছাত্রদের নিয়ে কাজ করতে চাই। তাই নিজের আগ্রহ থেকে পরে সংগঠনের সদস্য হই। ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হিসেবে তার পর থেকে কাজ করে যাই। আমি রাজবাড়ী থেকেই রাজনীতি করতে চাই।