একটি প্রজন্ম যারা থার্টি ফাইভ মিলিমিটারে চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বড় হয়েছেন এবং ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছেন থার্টি ফাইভ মিলিমিটার এর মতোই। ‘থার্টি ফাইভ’ বাংলাদেশের সেলুলয়েড সিনেমার পুরোনো আবেগ আর নস্টালজিয়া খুঁজে বেড়ানো এক সৃজনশীল নতুন ধাঁচের চলচ্চিত্র। এটা বাংলাদেশের মূলধারার চলচ্চিত্র শিল্পের উত্থান-পতনের ইতিহাসের সারমর্মের প্রতিচ্ছবিও বটে।
২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার হবে আশিক মোস্তফা পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘থার্টিফাইভ’। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল পাঁচটায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি। গত ডিসেম্বরে ইরানের সিনেমা-ভেরিটে চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়।
অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরুর পর চিত্রগ্রহণে নাম লেখান মাহফুজুর রহমান খান। পরবর্তীকালে দেশের অন্যতম চিত্রগ্রাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই চিত্রগ্রহণে আগ্রহী হন তিনি। তারপর বাবার ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলে হাতেখড়ি। চিত্রগ্রহণ শেখার উদ্দেশ্যে তিনি জহির রায়হানের ‘লেট দেয়ার বি লাইট’ ছবির সেটে যেতেন।
এছাড়া রফিকুল বারী চৌধুরী ও আবদুল লতিফ বাচ্চুর কাছ থেকে চিত্রগ্রহণের বিভিন্ন বিষয় শিখেছেন। নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রয়াত চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খানের মৃত্যুর তিন বছর পর দর্শকের সামনে আসছে চলচ্চিত্র ‘থার্টি ফাইভ’।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মৃত্যুবরণ করেন মাহফুজুর রহমান। তার মৃত্যুর আগেই চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়। ৩৫ মিলিমিটার যুগের সেই সময়ের এফডিসি কেমন ছিল, কীভাবে দৃশ্য ধারণ করা হতো— মাহফুফুজুর রহমানের বয়ানে তা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বিশেষ অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী আইরিন সুলতানা।