ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও বিভিন্ন শহরে জ্বালানি অবকাঠামোসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় রাশিয়ার সিরিজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ভোরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টা পর পুরো দেশে দ্বিতীয় দফায় আরও হামলা চালায় রাশিয়া। এতে নিহত হন ১২ জন।
জানা গেছে, ইউক্রেনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিপ্রো নগরীর একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শিশুসহ আরও বেশ কয়েকজন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
পূর্ব-মধ্য ইউক্রেনের দিনিপ্রো হামলার পর অতিরিক্ত ঠান্ডার মধ্যে সারারাত ধরে উদ্ধার কাজ চালিয়েছে উদ্ধারকারী দল। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেক মানুষ এখনো বেঁচে আছে।
দিনিপ্রোর ডেপুটি মেয়র মিখাইলো লাইসেনকো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওতে বলেছেন, ‘আমরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মানুষের চিৎকার শুনতে পাই।’
রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভ ও অন্যান্য স্থানে গুরুতর অবকাঠামোতেও আঘাত করেছে। ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রী বলেছেন, শীতের তীব্রতায় বিদ্যুৎ সরবরাহসহ অন্যান্য সার্ভিস দেওয়া আরও কঠিন হয়ে যাবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, দিনিপ্রো অ্যাপার্টমেন্ট হামলায় নিহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে। তিনি তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে ‘রাশিয়ার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বন্ধ করতে আরও অস্ত্রের জন্য নতুন করে আবেদন জানিয়েছেন।
এদিকে, এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউক্রেনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্ক ও কিয়েভের অন্যান্য মিত্ররা। ইউক্রেনকে আত্মরক্ষা করতে সাহায্য করার জন্য আরও নিরাপত্তা সহায়তা আসছে বলেও টুইটারে জানান তিনি।
জেলেনস্কির অফিসের উপপ্রধান কিরিলো টাইমোশেঙ্কো বলেছেন, ভবন থেকে ৩৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ৬৪ জন। জেলেনস্কি বলেন, ভবনটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশের দ্বিতীয় থেকে নবম তলা ধসে পড়েছে।
এ হামলার একদিন আগে শুক্রবার রাশিয়ার তরফে জানানো হয়, তাদের বাহিনী লবনখনির শহর সোলেদার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। গত ছয় মাসে ইউক্রেন যুদ্ধে এটা তাদের উল্লেখযোগ্য সাফল্য বলে ধরা হচ্ছে। তবে ইউক্রেন বলছে, সেনারা এখনো সেখানে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
যদিও রয়টার্স স্বাধীনভাবে সোলেদারের প্রকৃত অবস্থা যাচাই করতে পারেনি।
সূত্র: রয়টার্স