অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে বিস্ময়ের জন্ম দেওয়া বাংলাদেশের প্রমীলারা জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল গ্রুপপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচেও। জয়ের কেতনে এবার শ্রীলঙ্কাকেও হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় লঙ্কানদের ১০ রানে হারাল বাংলাদেশ। তাতেই সুপার সিক্সে এক পা দিয়ে রাখলো টাইগ্রেসরা।
বেনোনিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় শ্রীলঙ্কা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের কল্যাণে দুর্দান্ত সূচনা পায় বাঘিনীরা। ১১.১ ওভারে ওপেনিং জুটিতে আসে ৭৫ রান। মিষ্টি সাহা রান আউট হলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ২৪ বলে ১৪ রান করেন মিষ্টি। এদিকে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণের পর ৫৩ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার আফিফা প্রত্যাশা।
আর কোনেো উইকেট হারাতে হয়নি বাংলাদেশের। তৃতীয় উইকেট জুটিতেই শেষ পর্যন্ত খেলে যান দিলারা আক্তার ও স্বর্ণা আক্তার। এই দুই ব্যাটারের মধ্যে স্বর্ণা ছিলেন বেশি আগ্রাসী। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করে মাঠ ছাড়েন তিনি। আর দুজনে গড়েন অপ্রতিরোধ্য ৮৬ রানের জুটি।
মাত্র ২৮ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন স্বর্ণা। দুর্দান্ত এই ইনিংসটি তিনটি চার ও দুটি ছয়ে সাজানো। এদিকে দিলারা অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে। ২৭ বলে খেলা তার ইনিংসটি তিনটি চার ও একটি ছয়ে সাজানো। ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৬৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই দুই ওপেনারকে হারায় শ্রীলঙ্কা। মারুফা আক্তারের বলে প্রথম ওভারেই শূন্যরানে সাজঘরে ফেরেন নাতমি সেনারাথা। আরেক ওপেনার সমুদু নিশানসালাকে ৩ রানে বোল্ড আউট করেন টাইগ্রেস বোলার দিশা বিশ্বাস। তাতেই ভেঙ্গে পড়ে লঙ্কানরা।
কিন্তু তৃতীয় উইকেট জুটি দলনেতা ভিস্মা গুনারত্নে ও দেওমি ভিয়াঙ্গা ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে লঙ্কান শিবির। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ৯৬ রানের জুটি। কিন্তু ৫৫ রানে ভিয়াঙ্গাকে মারুফা এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললে আর জয় পাওয়া হয়নি তাদের। পরে ৪ রানে আউট হন মানুদি।
এদিকে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়া লঙ্কান দলনেতা করেন ৬০ রান। ৫৪ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি আটটি চার ও একটি ছয়ে সাজানো। আর ৩ বলে ১২ রান করেন দিশানায়েক। ফলে ১৫৫ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।