বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ইসলাম হলো সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য এসেছে। ইসলাম কখনোই মিথ্যাকে সমর্থন করে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা সত্য ও মিথ্যার ফারাক নির্ণয় করতে পারিনা; যেজন্য যারা মিথ্যা কথা বলে তারাও আমাদের কাছে আলেম! যারা সত্য কথা বলে তারাও আমাদের কাছে আলেম। কিন্তু কোনো ব্যক্তি যখন মিথ্যা কথা বলে, তখন সে আর আলেম থাকে না। কেউ মিথ্যা কথা বললে তাকে তওবা করতে হবে এবং তার মিথ্যা কথার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চেয়ে ইসলামে ফিরে আসতে হবে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রান্তে যুক্ত হন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। সেখানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন পরবর্তী পৃথক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমি একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি। ২০২১ সালের ২৬ মার্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন পুড়ানো, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর ও অন্যান্য সরকারি স্থাপনার ক্ষতি সাধনের প্রতিবাদে ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে আমরা একটি প্রতিবাদ মিছিল করেছিলাম। সেই মিছিলের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি বড় মাদ্রাসার (জামিয়া ইউনুসিয়া) কোনো সম্পর্কই ছিল না, এমনকি মাদ্রাসাটির ধারেকাছেও আমরা যায়নি। কিন্তু কতিপয় লোক, যারা নিজেদেরকে আলেম মনে করেন, তারা সেসময় সরাসরি আমার নাম ধরে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেছেন। আমার নামে মিথ্যাচার করেছেন যে, আমি মাদ্রাসাতে হামলা করেছি, সেখানে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ছেলেরা পাখির মতো গোলাগুলি করেছে! অথচ সেখানে একজন লোকও মারা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আমার নামে যারা মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা চালিয়েছিলো, তাদের মধ্যে দুইজন খুবই তথাকথিত খ্যাতিমান আলেম ব্যক্তি আছেন। একজন হলেন মোবারক উল্লাহ, অন্যজন সাজিদুর রহমান। অথচ মিথ্যা কথা হলো কবিরা গুনাহ। কবিরা গুনাহ করলে তওবা ছাড়া অন্য কোনো পথ থাকে না। তারা তওবা করছেন কিনা আমি জানি না, কিন্তু তাদের মিথ্যা কথা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হলাম আমি। এখনও অনেক মোল্লারা মনে করে যে, আমি হয়তো সেই মাদ্রাসায় হামলা করেছি। তাদের মিথ্যাচার দ্বারা আমার যেই ক্ষতি হয়েছে, সেজন্য আমার কাছে তারা এখনও ক্ষমা চায়নি। কেয়ামতের দিন আল্লাহ পাক নিশ্চয়ই একজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি হিসেবে আমাকে কথা বলার সুযোগ দিবেন, সেদিন এই অন্যায়ের বিচার আমি তার দরবারে চাইব।
তিনি বলেন, আমি মুসল্লিদের বলব, আপনাদের কাজ হলো এইধরনের ব্যক্তিদের পরিহার করা, তাদেরকে মসজিদে স্থান না দেওয়া।