কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ শুরু ২২ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

আগামী ২২ থেকে ৩১ জানুয়ারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে উদযাপন করা হবে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ। প্রথম ধাপে দেশের ৪৪টি জেলায় উদযাপন করা হবে এ কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। এ কর্মসূচির আওতায় প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন ভবনে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

universel cardiac hospital

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ের দেশের ৪৪টি জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী সব শিশুকে এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী সব কিশোরকে এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ (মেবেন্ডাজল ৫০০ মিগ্রা) ভরাপেটে সেবন করানো হবে।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সবধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী সব (স্কুলগামী, স্কুল বহির্ভূত, স্কুল থেকে ঝরে পড়া, পথ শিশু, কর্মজীবী শিশু) শিশুকে এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ বিনামূল্যে সেবন করানো হবে। একই সঙ্গে কৃমির পুনঃসংক্রমণ রোধ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। এসব শিশুদের পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহারে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য শিক্ষা দেওয়ার ফলে তা অভ্যাসে পরিণত হবে এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যার ব্যাপারে সচেতন হবে, যা থেকে ভবিষ্যতে শিশুরা কৃমিসহ অন্যান্য পরজীবী বাহিত রোগব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পাবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত তথ্য মোতাবেক— কৃমির সংক্রমণ বয়স্ক মানুষের চেয়ে শিশুদের মধ্যেই বেশি। এদের মধ্যে শূন্য থেকে চার বছর ৭ শতাংশ, ৫ থেকে ১৪ বছর ৩২ শতাংশ, ১৫ থেকে ২৪ বছর ১৫ শতাংশ, ২৫ থেকে ৪৪ বছর ৭ শতাংশ, ৪৫ থেকে ৫৪ বছর ৫ শতাংশ এবং ৫৫ বছরের অধিক ৪ শতাংশ কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কৃমি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে কর্মসূচিটি ২০০৫ সালে প্রথমত তিন জেলায় নেওয়া হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ২০০৭ সালের জুন পর্যন্ত ১৬ জেলায়, ২০০৮ সালের মে পর্যন্ত ২৪ জেলায় এবং ২০০৮ সালের নভেম্বর থেকে দেশের ৬৪ জেলায় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু হয়।

দেশে শিশুদের মল পরীক্ষায় ২০১৫ সালে কৃমির উপস্থিতি ছিল ৮০ শতাংশ। বর্তমানে তা কমে ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

সারাদেশে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রায় ৩৩ হাজার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ কর্মসূচির আওতাভুক্ত। শিশুদের মধ্যে ওষুধ সেবনের হার প্রত্যেক রাউন্ডেই ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ বলে জানানো হয়।

শেয়ার করুন