বিপিএল : টানা তিন হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখলো কুমিল্লা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সংগৃহীত ছবি

টানা তিন ম্যাচে হার। আরেকটি পরাজয় বিপিএলের এবারের আসরে বলতে গেলে কোণঠাসা করে দিতো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। তবে অবশেষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইমরুল কায়েসের দল।

স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হেসেখেলে হারিয়ে পয়েন্টের খাতা খুলেছে কুমিল্লা। অন্যদিকে পঞ্চম ম্যাচে এসে তৃতীয় হারের স্বাদ পেয়েছে শুভাগতহোমের চট্টগ্রাম।

বোলাররাই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। কুমিল্লার সামনে লক্ষ্য ছিল মোটে ১৩৬ রানের। পাওয়ার প্লেতে ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে এই লক্ষ্যকে সহজ করে তোলেন দুই ওপেনার লিটন দাস আর মোহাম্মদ রিজওয়ান।

লিটন ২২ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৪০ রানের ঝড় তুলে মৃত্যুঞ্জয়ের বলে বোল্ড হন ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে। দশম ওভারে পুষ্পকুমারা এক বলের ব্যবধানে তুলে নেন ইমরুল (১৩ বলে ১৫) আর জনসন চার্লসকে (০)।

এরপর জাকের আলি ২৩ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে এলবিডব্লিউ হন জিয়াউর রহমানের বলে। তবে ততক্ষণে কুমিল্লা জয় থেকে মাত্র ১১ রান দূরে। বাকি পথটা সহজেই পাড়ি দিয়েছেন শুরু থেকেই ধরে খেলা মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৩৫ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

এর আগে একশর আগেই (৯৮ রানে) ৭ উইকেট হারিয়ে সম্মানজনক পুঁজি পাওয়াও কঠিন হয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রামের। তবে অধিনায়ক শুভাগতহোম চৌধুরী বলতে গেলে একাই লড়লেন লোয়ার অর্ডার নিয়ে। শুভাগতর ২৩ বলে হার না মানা ৩৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত। প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় দল। তানভীর ইসলামের বলে ওপেনার উসমান খান বোল্ড হয়ে ফেরেন শূন্য রানে।

এরপর ম্যাক্স ও’দাউদ আর আফিফ হোসেন ধ্রুব হাল ধরেছিলেন। কিন্তু তারাও ইনিংস বড় করতে পারেননি। আফিফ ২১ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ২৯ করে মুকিদুল মুগ্ধর বলে বোল্ড হন। ও’দাউদ ২৪ বলে ২৪ করে বোল্ড হন মোসাদ্দেকের বলে।

মাঝে ইরফান শুক্কুরকে (৫) এলবিডব্লিউ করেন মোসাদ্দেক। এরপর জিয়াউর রহমান (২) খুশদিল শাহর বলে বোল্ড, দারউইশ রসুল (১১) বোল্ড তানভীরের বলে। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে (৭) বোল্ড করেন খুশদিল শাহ। অর্থাৎ চট্টগ্রামের প্রথম ৭ ব্যাটারের ৬ জনই হন বোল্ড, একজন এলবিডব্লিউ।

ধুঁকতে থাকা সে দলকে টেনে তুলেছেন শুভাগত। ২৩ বলে ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৪টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক। মেহেদি হাসান রানা করেন ৮ বলে ১৩।

কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন আর খুশদিল শাহ।

শেয়ার করুন