সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও কার্যালয়গুলোতে তিন লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
১৮ জানুয়ারি (বুধবার) জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস ২০২১ (জুন ২০২২ সালে প্রকাশিত) বইয়ের তথ্য অনুযায়ী ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ৪৩ হাজার ৩৩৬টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৪০ হাজার ৫৬১টি, তৃতীয় শ্রেণির ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৪৮টি এবং চতুর্থ শ্রেণির ১ লাখ ২২ হাজার ৬৮০টি শূন্য পদ রয়েছে।
সরকারি অফিসের শূন্যপদে নিয়োগ চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণির ১০-১৩তম গ্রেডের পদের নিয়োগ পিএসসির মাধ্যমে হয়ে থাকে। ১৪ থেকে ২০তম গ্রেডের নিয়োগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, সংস্থার নিয়োগবিধি অনুযায়ী হয়।
আদালতে মামলা থাকা, নিয়োগবিধি প্রণয়ন কার্যক্রম শেষ না হওয়া এবং পদোন্নতির জন্য যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কিছু শূন্যপদ পূরণ করা যায় না বলেও জানান তিনি।
৪০তম বিসিএসে ১ হাজার ৯২৯ জন এবং ৪২তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য ক্যাডার) ৩ হাজার ৯৬৬ জন সহকারী সার্জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ফরহাদ হোসেন বলেন, ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলমান। ৪৩তম বিএসএসের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন চলছে, ৪৪তম লিখিত পরীক্ষা গত ১১ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। আগামী মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্টের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারিত আছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস, ২০২১ (জুন ২০২২ সালে প্রকাশিত) প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯২৭ জন। তাদের মধ্যে নারী ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৯১ জন, যা মোট চাকরিজীবীর প্রায় ২৬ শতাংশ। ২০১০ সালে নারী চাকরিজীবীর সংখ্যা ছিল ২১ শতাংশ।