‘সংরক্ষিত আসনে ভোট শুধু নারীদের মাধ্যমে হওয়া উচিত’

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণের যে উদ্যোগটি গ্রহণ করেছিলেন সেটি এদেশের রাজনীতি ও সমাজ জীবনে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিল। শুধু তাই নয়, যেকোনো ডকুমেন্টসে মায়ের নাম সংযোজন করা তিনি বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলেন।

১৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দি ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে ‘ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল’ কর্তৃক আয়োজিত ‘নারী অন্তর্ভুক্তি পরিকল্পনা কর্মশালা এবং নীতি নির্ধারকের সঙ্গে সংলাপ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) নারীর গুরুত্ব বুঝেন, সমাজে নারীর অবদান কী সেটি তিনি বুঝেন। কেননা তাঁর মা ছিলেন একজন মহীয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা রেণু, যিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সংসার পরিচালনার পাশাপাশি নিজের প্রত্যেক সন্তানকে সুশিক্ষায় গড়ে তুলেছিলেন।

তিনি বলেন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে ভোট শুধু নারীদের মাধ্যমে হওয়া উচিত। পাশাপাশি বর্তমানে এই পদে যারা নির্বাচিত হয়ে এসেছেন তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সুনির্দিষ্টকরণ করা প্রয়োজন। তাদের আর্থিক দায়-দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা উচিত, আর্থিক দায়-দায়িত্ব না আসা পর্যন্ত তাকে আপনি কোনো কাজে পাবেন না, এমনকি তার কোনো কার্যকর ভূমিকাও আপনি পাবেন না। শুধু চেহারার ভূমিকা থাকবে, তবে নারী কী শুধু চেহারার ভূমিকা পালন করে যাবেন? নাকি তিনি যাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের প্রতি যে দায়িত্ব রয়েছে সেই দায়িত্ব পালনে সুযোগ পাবেন সেটিও বিবেচনা করা উচিত।

মোকতাদির চৌধুরী আরও বলেন, রাজনীতি করতে হলে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে কাজ করতে হবে। আর মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে কাজ করতে হলে টাকা কিংবা ক্ষমতার কাছে নয়, অবশ্যই আপনাকে মানুষের কাছে যেতে হবে। কাজেই প্রত্যেক জনপ্রতিনিধিদের উচিত ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধ্বে উঠে জনকল্যাণে কাজ করা।

শেয়ার করুন