শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, নতুন পাঠ্যবই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। নতুন পাঠ্যবইয়ে ইসলাম ধর্মবিরোধী বিষয় আছে—এ বক্তব্য সত্য নয়। বলা হচ্ছে, ইসলাম ধর্মসংক্রান্ত সব বিষয় সরিয়ে দিয়ে ভিন্নধর্মী জিনিসপত্র আনা হয়েছে, এটিও একেবারে অসত্য। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি বইয়ের ছবি দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যে বইটি এখন সেখানেও চলে না। একটা অপশক্তি আছে, যারা এসব মিথ্যাচার চালিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের দশম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নতুন পাঠ্যবইয়ে ধর্মবিরোধী কোনো বিষয় থাকার সুযোগ নেই। কারণ, আমরা নৈতিকতার শিক্ষায় বিশ্বাস করি এবং ধর্মীয় শিক্ষা সেই নৈতিকতার মূল স্তম্ভ। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব বিষয়ে ব্যাপক অপপ্রচার চলছে।
পাঠ্যবইয়ে ভুলের বিষয়ে দিপু মনি বলেন, যারা বইয়ের ভুল শনাক্ত করেছেন, তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। নবম-দশম শ্রেণির বইয়ে কিছু ভুল শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছরের বইয়ে এই ভুল ছিল। কিন্তু কখনো কারও চোখে পড়েনি। এ বছর শিক্ষার্থীরা বইগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছে বলেই ভুল ধরা পড়েছে। এই যে পাঠ্যবইয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ, এটি পাঠ্যবইগুলোর মান উন্নত করতে এবং আরও নির্ভুল করতে আমাদের সহযোগিতা ও অনুপ্রাণিত করবে।
দেশে চলমান কাগজ–সংকট নিয়েও কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, গত বছর কাগজশিল্প বিরাট একটি সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। কাগজের একটি বিশাল সংকট ছিল। কাগজ তৈরিতে ব্যবহার হওয়া ভার্জিন পাল্প পাওয়া যাচ্ছিল না। ডলার পরিস্থিতির কারণে আমদানির দিকেও যেতে পারিনি। এর পরেও সব শিল্পের সহযোগিতায় ১ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৮০ শতাংশ বই পৌঁছে দিতে পেরেছি। প্রতে৵ক শিক্ষার্থী বই পেয়েছে। হয়তো কেউ ৫টি, কেউ ৩টি পেয়েছে। তবে সবাই পেয়েছে। বাকি বইগুলো এ মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।