নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবা বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স। প্রধানমন্ত্রী পদে দলের মনোনয়ন পাওয়া একমাত্র ব্যক্তি হওয়ায় তিনি বসতে যাচ্ছেন এ পদে। খবর বিবিসির।
ক্রিস হিপকিনস ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০২০ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব পান কোভিড-১৯ বিষয়ক মন্ত্রীর। পরে বদল করা হয় তার দপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) হঠাৎই পদত্যাগের ঘোষণা দেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কঠিন সময় যাচ্ছে বলে আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছি, তা নয়। এমন হলে আমি আগেই সরে যেতাম। আমি চলে যাচ্ছি, কারণ প্রধানমন্ত্রীত্বের মতো বিশেষ ভূমিকার সঙ্গে অনেক দায়-দায়িত্ব জড়িয়ে থাকে, যা পালন করা আমার পক্ষে হয়তো আর সম্ভব নয়।
‘একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি কখন সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবেন ও কখন পারবেন না তা জানা উচিত। আমি মানুষ, রাজনীতিবিদরাও মানুষ। আমরা যতক্ষণ পারি, ততক্ষণ কাজ করে যেতে পারি। তবে এখন আমার সরে যাওয়ার সময় এসেছে।’
তবে দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত হলেও এখনই চেয়ারে বসতে পারছেন না হিপকিনস। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দেশটির গভর্নর জেনারেলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন জেসিন্ডা। এরপর রাজা তৃতীয় কিং চার্লস-এর পক্ষে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন তিনি।