স্পেনের গালিসিয়া প্রদেশের কারাগারে আটক পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিকের দ্রুত মুক্তির জন্য স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা কামনা করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ।
মাদ্রিদে স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (কনস্যুলার) খাভিয়ের মার্তি মার্তির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ অনুরোধ করেন রাষ্ট্রদূত।
শুক্রবার (২০জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় মাদ্রিদের বাংলাদেশ দূতাবাস।
রাষ্ট্রদূতের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দেন মহাপরিচালক।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশিদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য স্পেন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি গন্তব্য স্পেন। এশিয়ায় স্পেনের চতুর্থ বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার বাংলাদেশ। বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হলে দুই দেশের জনগণ, বিশেষত ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।
বর্তমানে শুধুমাত্র স্পেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি অভিবাসীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গ্রহণের আবশ্যকতা রয়েছে। প্রবাসীদের জন্য এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ, দুরূহ ও কষ্টসাধ্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, স্পেনে বসবাসরত ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রবাসী কমিউনিটি। তারা দুই দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক ইস্যুকৃত ডিজিটালাইজড পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট স্পেন ছাড়া বিশ্বের সব দেশেই স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে যেহেতু বাংলাদেশিদের সকল পাসপোর্টই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অথবা ই-পাসপোর্ট, সেহেতু স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক ইস্যুকৃত ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদকে গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করে, তাহলে তা প্রবাসীদের ভোগান্তি লাঘবে অনেক সহায়ক হবে।
বাংলাদেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত ও প্রবাসীদের সত্যায়িত বিবাহ সনদকে গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করার জন্যও অনুরোধ জানান রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুদক্ষ কর্মী ও পেশাজীবীদের স্পেনে নিয়োগের মাধ্যমে স্বাগতিক অর্থনীতি লাভবান হতে পারে।