সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে জামানত দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। জামানতের অর্থ বিদ্যমান ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার কথা বলা হয়েছে।
রোববার (২২ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত ‘জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন’ এর সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় আইনটির আরও কিছু ধারার সংশোধন আনা হয়। সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন নির্বাচন আইনের কয়েকটি অনুচ্ছেদ ও ধারায় সংশোধনীর প্রয়োজন ছিল। কমিশনার রাশেদা সুলতানার নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি আইনের সুপারিশগুলো তৈরি করে ওই সংশোধনীর খসড়া কমিশন সভায় উপস্থাপন করেছে। কমিশন সেটা অনুমোদন দিয়েছে।
এই খসড়া সংশোধনী আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই খসড়া মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিসভায় যাবে, তারপর যাবে সংসদে; এভাবে আইনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি পাস হবে।’
সংশোধনীগুলোর বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ২০০৪ সালের আইনে নারী সংরক্ষিত আসন ছিল ৪৫টি। পরবর্তী সময়ে ৫০টিতে উন্নীত করা হলেও আইনে সেটা সংশোধন করা হয়নি। এটি সংবিধানের তফসিলে সংশোধন ছিল। এটাকে আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ আইনে সংরক্ষিত আসন ৪৫টির স্থলে ৫০টি করার সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে নারী সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনের সময়সীমা রয়েছে ৪৫দিন। এটাকে সাধারণ সংসদ সদস্যের নির্বাচনের মত ৯০দিন করা হয়েছে। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে জামানতের অর্থ বিদ্যমান আইনে ১০ হাজার টাকা রয়েছে। সেটাও বাড়িয়ে সাধারণ সদস্যের ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
শিগগিরই একটি সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের তফসিলের আগে আইনের সংশোধনী প্রয়োজন পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আসন্ন একটি সংরক্ষিত আসনে যে নির্বাচন হবে। সেক্ষেত্রে এই সংশোধনীর বাধ্যবাধকতার সমস্যা হবে না। কারণ আমাদের সংবিধানে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের কথা বলা আছে। ওই নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে এই সংশোধনী পাস না হলে বিদ্যমান আইনেই নির্বাচন হবে।
বৈঠকে প্রস্তাবিত ইভিএম প্রকল্প বা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানান সচিব।