কোপা ডি ফ্রান্সের শেষ ৩২-এর খেলা। প্রতিপক্ষ একটি অ্যামেচার দল, পায়েস ডি ক্যাসল। অ্যামেচার দলটিকে পেয়ে রীতিমত গোল উৎসবে মেতে উঠেছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা কিলিয়ান এমবাপে একাই করলেন ৫ গোল।
১১ মিনিটের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। গোল উৎসবে মেতে উঠে প্রতিপক্ষকে ৭-০ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ ষোলোয় নাম লিখেছে পিএসজি। যেখানে তারা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের দল মার্সেইয়ের।
প্রতিপক্ষের নাম পায়েস ডি ক্যাসল হওয়ার পরও কোচ ক্রিস্টোফে গ্যালতিয়ের বলেছিলেন, তিনি শক্তিশালী দলই মাঠে নামাবেন। সে কথাই রক্ষা করেছেন তিনি। শুধুমাত্র লিওনেল মেসিকে বিশ্রাম দিলেন। নেইমার, এমবাপেদের নিয়ে সাজালেন তার সেরা একাদশ।
যার ফলে অ্যামেচার দলটিকে নিয়ে পুরো ম্যাচে বলতে গেলে ছেলেখেলাই করেছে পিএসজি। বিশেষ করে কিলিয়ান এমবাপে। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জয় এবং ফাইনালে হ্যাটট্রিক করার পর এটাই তার প্রথম হ্যাটট্রিক। শুধু তাই নয়, পিএসজির ইতিহাসে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এই প্রথম ৫ গোল করার রেকর্ড গড়েন তিনি।
এ নিয়ে চলতি মৌসুমে ২৪ ম্যাচে তার নামের পাশে যোগ হলো ২৫ গোল। সব মিলিয়ে পিএসজির জার্সিতে হলো ১৯৬ গোল। পিএসজির হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা এডিনসন কাভানির চেয়ে আর মাত্র ৪ গোল পিছিয়ে তিনি।
ম্যাচ শেষে কিলিয়ান এমবাপে বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছিলাম প্রতিপক্ষকে সম্মান জানাতেই। সে কারণেই আমরা আমাদের মত সেরা খেলাটাই খেলার চেষ্টা করেছি। এ কারণেই এই ফল হলো এবং আমরা এতে খুব খুশি। তবে তাদের জন্যও এটা ছিল দারুণ এক সুযোগ, সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার।’
ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় শহর লেন্সের মাঠ স্টেডে বোলায়ের্ট ডেলেলিসে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচটি। ম্যাচের প্রথম আধাঘণ্টা কোনোমতে পিএসজির আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছিলো পায়েস ডি ক্যাসল। কিন্তু ২৯তম মিনিটে গোলের তালা খোলেন এমবাপে। এরপর বালির বাধের মত ভেঙে যায় তাদের সব প্রতিরোধ।
নুনো মেন্ডেজের ক্রস থেকে পায়েস ডি ক্যাসলের জালে প্রথম বল জড়ান এমবাপে। এরপর ৩৩তম মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোল করেন নেইমার। এক মিনিট যেতে না যেতেই আবার গোল। ৩৪ মিনিটে করলেন নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোল করলেন এমবাপে। ৪০ মিনিটে পূরণ করলেন হ্যাটট্রিক। মাত্র ১১ মিনিটের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি।
প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরও একছেটিয়া খেলতে থাকে প্যারিসের দলটি। ৫৬ মিনিটে দলের ৫ম এবং নিজের চতুর্থ গোল করেন এমবাপে। ৬৪ মিনিটে আবার গোল করে পিএসজি। এবার গোলদাতা কার্লোস সোলার। খেলার ৭৯তম মিনিটে পায়েস ডি ক্যাসলের পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন এমবাপে নিজেই। করলেন নিজের পঞ্চম গোল এবং দলকে ৭-০ গোলের ব্যবধানে জয় এনে দেন।