লক্ষ্য ছিল ১০৯ রানের; টি-টোয়েন্টিতে এমন লক্ষ্য তো হেসেখেলেই পেরিয়ে যাওয়ার কথা। খুলনা টাইগার্সের ব্যাটিং লাইনআপে আবার ছিলেন তামিম ইকবাল, আজম খান, শাই হোপের মতো ব্যাটাররা। কিন্তু তাসকিন আহমেদ গতিতে এমনই ঝড় তুললেন, যাতে উড়ে গেলো খুলনা। ইয়াসির রাব্বির দলকে ১৫.৩ ওভারেই ৮৪ রানে গুটিয়ে দিয়ে ঢাকা পেলো ২৪ রানের জয়। এটি চলতি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় জয় ঢাকার।
তামিম ইকবাল আর ইয়াসির রাব্বি ছাড়া খুলনার কোনো ব্যাটার দুই অংক ছুঁতে পারেননি। তামিম ২৩ বলে ৩০ আর ইয়াসির ২৪ বলে ২১ রান।
গতিতে আগুন ঝরানো তাসকিন মাত্র ৯ রান দিয়ে একাই নেন ৪টি উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন নাসির হোসেন আর আল আমিন হোসেন।
এর আগে অফফর্ম কাটিয়ে হাফসেঞ্চুরি উপহার দেন সৌম্য সরকার। কিন্তু তার দল ঢাকা ডমিনেটর্স ধুঁকলো ঠিকই। ১৯.৪ ওভারে ১০৮ রানেই গুটিয়ে যায় নাসির হোসেনের দল।
এক সৌম্য ছাড়া কেউই বলার মতো কিছু করতে পারেননি। প্রথম সাত ব্যাটারের মধ্যে সৌম্যই একমাত্র দুই অংক ছুঁয়েছেন। ৪৫ বলে ৬ চার আর ২ ছক্কায় সৌম্যর উইলো থেকে বেরিয়ে আসে ৫৭ রানের ইনিংস।
ঢাকার এই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানোর নায়ক নাহিদুল ইসলাম। খুলনা টাইগার্সের এই অফস্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচায় একাই নেন ৪ উইকেট। আরেক স্পিনার নাসুম আহমেদ ১১ রানে নেন ৩টি উইকেট।