আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যেসব অপপ্রচার হচ্ছে, সেগুলোর জবাব দেওয়ার জন্য টিম গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপির সাম্প্রদায়িক কায়দা, জঙ্গিবাদী কায়দা ও বিশৃঙ্খলতার কঠিন জবাব দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সমাবেশে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, নিজের লোক, আত্মীয়স্বজন দিয়ে কমিটি করা চলবে না। ত্যাগী, দুঃসময়ে যারা ছিল তাদের দিয়ে কমিটি করবেন। পদ না থাকলে কেউ সালামও দেবে না, মুখের দিকে চেয়ে নেতা বানাবেন না। পকেট-বাণিজ্য করে স্বজনপ্রীতি করে কমিটি গঠন করা যাবে না। কমিটি গঠন করতে হবে নিবেদিতদের নিয়ে।
বিএনপির আন্দোলনের জবাব দিতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিন রাজপথে থাকবে। রাজপথ ছাড়া যাবে না। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগকে একমাত্র গঠনতন্ত্র চর্চাকারী দল আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বিএনপিকে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য খালি মাঠ দেওয়া হবে না। তারা কখনোই গণতন্ত্রের পথে চলে না। যাদের ঘরেই গণতন্ত্রের চর্চা নাই তারাই গণতন্ত্রের কথা বলে। তারা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। অথচ তারাই গণতন্ত্রহীন।
আওয়ামী লীগ সরকার পঁচাত্তরের পর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিথ্যাচার করে আবারও পঁচাত্তর ঘটানোর হুমকি দেয় বিএনপি। বিএনপি দেশের ঐতিহাসিক দিবসগুলো বিশ্বাস করে না।
২১ বছর ধরে এ দেশে গণতন্ত্র ছিল না দাবি করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শাসনামলে কোনও গণতন্ত্র ছিল না। ২০০১ সালের সরকার গণতন্ত্রের নামে দেশটাকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়েছিল। নির্বাচনে যেখানে বলেছিলেন আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে, সেখানে তাদের ভরাডুবি হয়। গণতন্ত্র বিকাশমান প্রক্রিয়া, ত্রুটিমুক্ত নির্বাচন আমরাও চাই।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা ভোট চুরির জন্য এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বানাননি। শেখ হাসিনা গায়ের জোরে ইলেকশন কমিশন বানাননি। ইলেকশন কমিশন আইনের মাধ্যমেই গঠন করা হয়েছে। কত ভয়ংকর নোংরামির রাজনীতি হলে একটি দলকে মৃত বলে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানো হয়। যারা জঙ্গিবাদের সমর্থন করে তারাই এসব গুজব ছড়ায়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপিসহ ময়মনসিংহ বিভাগের সব সংসদ সদস্য ও জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।