হল প্রভোস্টের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক ছাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ দাবি জানান তারা।
তৃতীয়/চতুর্থ বর্ষে উঠেও সিট না পাওয়া, নিম্নমানের খাবার দেওয়া, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পর্যাপ্ত টিশার্ট না থাকা, ক্যান্টিনের খাবারের নিম্নমান ও উচ্চ দাম, হলে আগুন লাগার ঘটনায় প্রভোস্টের উদাসীনতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনেছেন ছাত্রীরা।
ছাত্রীরা জানান, তৃতীয় বর্ষে উঠেও অনেকেই সিট পায়নি। অথচ, জুনিয়ররা সিট পাচ্ছে। হলের মধ্যে কোনো ফার্মেসি নেই। আগুন লাগার ঘটনায় প্রভোস্টের উদাসীনতা লক্ষ্য করেছি। ছাত্রীদের দাপ্তরিক কাজে ঢিলেমি করেন উনি। এছাড়াও, ক্যান্টিনের খাবার নিয়ে অভিযোগ জানানো হলেও উনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদাসহ অনেকে।
ছাত্রীদের একটি প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে উপাচার্যের বাসভবনে প্রবেশ করেছে। সেখানে তারা তাদের বিভিন্ন দাবি উপাচার্যকে জানাবেন।
এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের প্রধ্যক্ষের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।