কিবরিয়া হত্যার ১৮ বছর আজ

মত ও পথ ডেস্ক

শাহ এএমএস কিবরিয়া
শাহ এএমএস কিবরিয়া। ফাইল ছবি

সাক্ষীর অভাবে দেড় যুগেও শেষ হয়নি সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার বিচারকাজ। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের ১৮ বছর পূর্ণ হলেও নানা কারণে বিচার কাজে দেখা দিয়েছে ধীরগতি।

হত্যাকাণ্ডের সাড়ে ৯ বছর পর সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হলেও আজও এ হত্যার বিচার শেষ হয়নি। সাবেক এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন ও কিবরিয়া স্মৃতি পরিষদ।

জানা যায়, হত্যার সময়ে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরে যাওয়া, অনেকের গত হওয়াসহ, নির্ধারিত তারিখে সাক্ষীদের আদালতে না আসাসহ নানা কারণে এ হত্যা মামলার বিচারকাজে দেখা দিয়েছে ধীরগতি।

২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি বিকেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে ঈদ পরবর্তী এক জনসভা শেষে ফেরার পথে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন তৎকালীন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। এ হামলায় শাহ এএমএস কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন এবং সিদ্দিক আলীও প্রাণ হারান। আহত হন কমপক্ষে শতাধিক নেতাকর্মী।

ঘটনার রাতেই হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

এরপর দীর্ঘ তদন্ত শেষে সাড়ে ৯ বছর পর ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের আদালতে কিবরিয়া হত্যা মামলার তৃতীয় সম্পূরক অভিযোগপত্রে নতুন ১১ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। অন্তর্ভুক্ত আসামি হলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছ, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি তাজ উদ্দিন, মুফতি সফিকুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, বদরুল, মহিবুর রহমান, কাজল আহমেদ ও হাফেজ ইয়াহিয়া।

এরপর ২০১৫ সালের জুনে মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়। সেখানে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়েছে। চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ।

মোট ৩২ আসামির মধ্যে অন্য একটি মামলায় ৩ আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। সম্প্রতি হারিছ চৌধুরী লন্ডনে মারা গেছেন। এখন ২৮ জন আসামি রয়েছেন। এর মধ্যে জামিনে আছেন ১২ জন। পলাতক রয়েছেন ৬ জন এবং হাজতে আছেন ১০ জন। বর্তমানে সিলেটে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন