বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, মাদক প্রবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুখ হচ্ছে বিজয়নগর। আমাদের যুব সমাজকে রক্ষার্থে বিজিবি, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি, আমরা সকলে যদি সতর্ক থাকি তাহলেই মাদক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কাজেই আমি আশা করব আপনারা প্রত্যেকেই মাদকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিজ নিজ জায়গা থেকে যথোপযুক্ত ভূমিকা পালন করবেন।
২৮ জানুয়ারি (শনিবার) বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আপনাদের সঙ্গে আমি আশা করি আমার কোনো ফাঁক নেই। আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়তো আমি অনেক কাজ করতে পারি না। কেননা আমি প্রায় ৬ লক্ষ ভোটারের এমপি। সরকার থেকে আমি যা বরাদ্দ পাই- প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটারের ভোটে যিনি এমপি হয়েছেন তিনিও সমপরিমাণ বরাদ্দ পান। সরকারের বরাদ্দে এই অসাম্যের কারণে আমরা ক্ষতি হই।
তিনি বলেন, আমি প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এই অসাম্যের বিষয়ে একনাগাড়ে একই কথা বলে আসছি। যতজন অর্থমন্ত্রী এসেছেন, সকলেই আমার কথার যৌক্তিকতা স্বীকার করেছেন কিন্তু পরবর্তীকালে তারা কাজটি করেন না।
এসময় সরকার কর্তৃক সম্পাদিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী-এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ ইরফান উদ্দীন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাবিত্রী রাণীসহ ১০ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
এদিন উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এক কোটি ৫১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ ভবনের উদ্বোধন করেন মোকতাদির চৌধুরী এমপি।