বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব (পিএস) মিয়া নুর উদ্দিন অপু ও তার সহযোগীরা ২০১৭ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চারটি দেশের প্রবাসীদের রেমিট্যান্স গায়েব করে দেশ থেকে অর্থ পাচার করেছেন। দেশ চারটি হলো- সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ দাবি করেছে। সিআইডি আরও কয়েকটি দেশের বিষয়ে সন্ধান করছে।
সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি মিয়া নুর উদ্দিন গ্রেপ্তার হন। তার ৮ কোটি টাকার উৎস খুঁজতে গিয়ে এমন তথ্য পায় সিআইডি। ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর মতিঝিলের ইউনাইটেড করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে জব্দ বিভিন্ন কাগজপত্র ও ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সূত্র ধরে প্রায় ৪ বছরের অনুসন্ধানে ৫৬৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পান সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা।
অনুসন্ধান বলছে, ২৭৬টি জমা স্লিপে ওই সব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি ১২ লাখ ৪১ হাজার ৪২৯ টাকা জমা হয়েছে। অনুসন্ধান শেষে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হয়।
মামলায় দুই ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। দুই আসামি হলেন ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মাহমুদুল হাসান ও তার ভাগনে একই এলাকার এ এম আলী হায়দার ওরফে নাফিজ। প্রতিষ্ঠানটির নাম ইউনাইটেড করপোরেশন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত হুন্ডির মাধ্যমে ওই টাকা পাচার করা হয়। তদন্তে হুন্ডি ব্যবসা পরিচালনার জন্য একটি গোপন হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ গ্রুপের সন্ধান পায় সিআইডি।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের (ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম) পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী বলেন, পুরোনো মামলাটির অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়ে আমরা আরও কিছু তথ্য পাই। হুন্ডির বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ায় আরেকটি মামলা করা হয়েছে। এই মামলার তদন্তও চলছে।