তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলায় শফিউর রহমান ফারাবীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াৎ আজ সোমবার এই রায় দেন। ওই ট্রাইব্যুনালের স্টেনোগ্রাফার মামুন শিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায়ের পর শফিউর রহমান ফারাবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার আরেকটি আদালত।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক ধর্মীয় কটূক্তিসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই ফারাবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ফারাবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ছয়জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত শফিউর রহমান ফারাবীকে ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরমিানা করেছেন। আদালত সূত্র বলছে, মামলায় ফারাবী কোনো আইনজীবী নিযুক্ত করেননি। তিনি নিজেই মামলার শুনানি করতেন।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগ আন্দোলনের কর্মী, ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের জানাজা পড়ানোয় ইমামকে হত্যার হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন ফারাবী। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করতেন। তবে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ২০১০ সালে তিনি হিযবুত তাহ্রীরে সক্রিয় হয়ে পড়েন। বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় সন্দেহজনক আসামি হিসেবে ২০১৫ সালের ২ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।