ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে এখন শীর্ষ দশেও নেই এশিয়ার সবচেয়ে ধনী গৌতম আদানি। ব্লুমবার্গের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় আদানির অবস্থান চতুর্থ থেকে একাদশতমতে নেমেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই এশিয়ার শীর্ষ ধনীর তকমা থেকেও ছিটকে যাবেন তিনি। ধারাবাহিকভাবে তার কোম্পানির শেয়ারের পতন হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। খরব ব্লুমবার্গের।
বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বার্নার্ড আর্নল্ট। তার সম্পত্তির পরিমাণ ১৮৯ বিলিয়ন ডলার। এর পরেই রয়েছেন ইলন মাস্ক। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন জেফ বেজস।
মাত্র তিন লেনদেন দিবসে ভারতীয় ব্যবসায়ী গৌতম আদানি ব্যক্তিগত সম্পত্তি খুইয়েছেন ৩৪ বিলিয়ন ডলার। এখন তার সম্পত্তির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৮৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডালার। অন্যদিকে ৮২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তার পরেই ১২তম স্থানে আছেন মুকেশ আম্বানি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে কিছু সময়ের জন্য হলেও বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছিলেন ভারতীয় এ ধনকুবের। ওই সময়ে আদানি ও তার পরিবার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার।
ধোঁকাবাজির অভিযোগ ওঠার পর থেকে আদানি গ্রুপের শেয়ারের দরপতন যেন থামছেই না। আদানি গ্রুপের বিষয়ে দুই বছর তদন্তের পর গত ২৪ জানুয়ারি গুরুতর নানা অভিযোগের বিশদ বিবরণসহ একটি বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিনডেনবার্গ রিসার্চ। এতে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ‘করপোরেট জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজি’র অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থাটি।
এর জবাবে আদানি গ্রুপ বলেছে, এটি কেবল নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির ওপর অন্যায় আক্রমণ নয়, বরং ভারতের ওপর, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা, অখণ্ডতা ও গুণমান এবং ভারতের প্রবৃদ্ধির উচ্চাকাঙ্ক্ষার ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ।