সারাহর প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর দাবি সংসদে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মৃতঘোষিত অবস্থায় কিডনি ও কর্নিয়া দান করে অনন্য নজির স্থাপন করায় সারাহ ইসলাম ঐশ্বর্যের প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানানোর দাবি জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি মনে করেন, এটি করা হলে মরণোত্তর অঙ্গ দানে অনেকেই এগিয়ে আসবেন।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে হানিফ এ দাবি জানান। দেশের ইতিহাসে ২০ বছর বয়সী সারাহ ইসলামই প্রথম ব্যক্তি যিনি ‘ব্রেন ডেথ’ অবস্থায় নিজের অঙ্গ দান করেন। বিএসএমএমইউয়ের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন ২০ বছরের সারাহ ইসলাম।

universel cardiac hospital

দেশের আইন মেনে সারাহর মৃত্যু ঘোষণার পর তার অঙ্গদানে সম্মত হন মা শবনম সুলতানা। গুরুতর অসুস্থ থাকার সময় সারাহ নিজেও এমন ইচ্ছার কথা তার মাকে বলেছিলেন। এ ঘটনার উল্লেখ করে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো মৃত ব্যক্তির দান করা কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে গত ১৮ জানুয়ারি রাতে। কিডনি দান করে গেছেন ২০ বছর বয়সী সারাহ। মৃত্যুর আগে সারাহ অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। তিনি তাঁর কর্নিয়াও দান করে গেছেন।

সারাহ ও তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সারাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান জানানো উচিত। তিনি অন্যন্য নজির স্থাপন করেছেন।

হানিফ বলেন, সারাহকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানালে অনেকে মরদেহ দিতে এগিয়ে আসবেন। তিনি মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন সংশোধন করে কঠোর নজরদারির মাধ্যমে স্বেচ্ছায় অঙ্গদানের সুযোগ তৈরি করার পরার্মশ দেন। তিনি বলেন, ইসলাম বা বিদ্যমান আইনে অঙ্গদানে কোনো বাধা নেই। তবে এখন শুধু নিকটাত্মীয়রা এটি দিতে পারেন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

মাহবুব আলম হানিফ বলেন, গত ১৫ বছরে এ সরকারের আমলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় দুর্ঘটনা ব্যাপক। এর কারণ চালক। তাদের মধ্যে অনেকেরই নিয়ম, নীতি, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে জানা নেই। তিনি লাইসেন্স দেওয়ার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার দাবি জানান।

শেয়ার করুন